সমগ্র বাংলাদেশ

কথিত পীর হত্যায় আরেক ‘পীর’ ও খাদেমের ‘দোষ স্বীকার’

Byদিনাজপুর প্রতিনিধি
সংবাদ সম্মেলনে এসপি হামিদুল আলম

শুক্রবার রাতে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হামিদুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

গত ১৩ মার্চ রাতে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের দৌলাগ্রামের কাদরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফের কথিত পীর ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ও তার গৃহকর্মী রুপালিকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

দুইদিন পর ফরহাদের মেয়ে ফাতিয়া ফারহানার করা মামলা কুড়িগ্রামের উলিপুরের কথিত পীর ইসহাক ও দরবার শরীফের খাদেম সায়েদুল ইসলাম ও মুরিদ সমর আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এসপি হামিদুল বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ফরহাদ চৌধুরীর গুরু কুড়িগ্রামের কথিত পীর ইসহাক আলী ও কাদরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফের খাদেম সায়েদুল জড়িত।

“শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত দিনাজপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এফএম আহসানুল হকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।”

‘গুরু-শিষ্যের আদর্শিক দ্বন্দ্বের জেরে’ এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে দাবি করে এসপি হামিদুল বলেন, “গত ১২ মার্চ কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে পীর ইসহাক আলীর দরবারে হত্যার পরিকল্পনা হয় । এ কিলিং মিশনে সাত জন অংশ নেয়।

“ফরহাদ চৌধুরী ও রুপালিকে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে নিস্তেজ করা হয় এরপর তাদের গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা।”

দ্বন্দ্ব সর্ম্পকে সংবাদ সম্মেলনে হামিদুল বলেন, “২০০৮ সালে ইসহাক ইউপি নির্বাচনে নিজ এলাকায় সদস্য প্রার্থী হন। নির্বাচনের জন্য শিষ্য ফরহাদের কাছে টাকা চাইলে দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং নির্বাচনে বিরোধিতা করেন। এ থেকে দুজনের মধ্যে আদর্শিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়।”

“খাদেম সায়েদুলকে ‘কৌশলে’ এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করেন ইসহাক,” বলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

SCROLL FOR NEXT