রাজনীতি

শুধু ইসি শক্তিশালী হলেই হবে না: এমাজউদ্দীন

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

একাদশ সংসদ নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণের জটিলতা না কাটার মধ্যে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় একথা বলেন বিএনপি সমর্থক পেশাজীবীদের এই নেতা।

বিএনপিসহ দুই-তৃতীয়াংশ দল দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে  নির্বাচনের দাবি ছিল বিএনপির। এখনও তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে।

অধ্যাপক এমাজ বলেন, “আমরা ইনক্লুসিভ ইলেকশন চাই, যে নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল অংশ করবে। এই অবস্থা যদি সৃষ্টি করতে হয় নির্বাচন কমিশন অপরিহার্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই। একটা স্বতন্ত্র শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ইজ এ মাস্ট, এর কোনো বিকল্প নেই। বাট দ্যাট ইজ নট দি ওনলি আনসার।

“এরপরেও আরও কতগুলো বিষয় একান্তভাবে দরকার। যেগুলোকে বলা হয়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে হবে। এই সমতল ভূমি হওয়ার অনেকগুলো শর্ত আছে। প্রথম শর্ত হলো যে জাতীয় সংসদ, দ্যাট হ্যাজ টু বি ডিজলভড। এটা ছাড়া কোনো পথ নেই।”

অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ (ফাইল ছবি)

অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ (ফাইল ছবি)

রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রবীণ শিক্ষক এমাজউদ্দীন সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ১২৩ অনুচ্ছেদের ‘ক’ ব্যবস্থা হল সংসদ কার্যকাল পূর্ণ করার ৯০ দিন আগে নির্বাচন অর্থাৎ তখন আর সংসদ ভাঙার প্রয়োজন হচ্ছে না। ‘খ’ ব্যবস্থা হল সংসদ কার্য্কাল পূর্ণ করার ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ তখন সংসদ ভেঙে যেতে পারে, সংসদ থাকে না।

দ্বিতীয়টি কার্যকর হলে প্রধানমন্ত্রী প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে ‘ছড়ি ঘোরাতে’ পারবেন না বলে মনে করেন তিনি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়ে সংসদ না ভেঙে দেওয়ার ঘটনাকে ‘অস্বাভাবিক ও হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক এমাজ।

কোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  এক্ষেত্রে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার মামলার কথা বলেন তিনি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডায়ালগ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-বিসিডিডি’র উদ্যোগে ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ: নিরপেক্ষ নির্বাচনে সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এমাজ।

সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমীন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

SCROLL FOR NEXT