ছবি: রয়টার্স

)<div class="paragraphs"><p>ছবি: রয়টার্স</p></div>
লাইফস্টাইল

কোমরের বেড়ের ওপর পনিরের প্রভাব

Byলাইফস্টাইল ডেস্ক

পনির খাওয়ার পরিমাণের ওপর নির্ভর করবে পেটের মেদ বাড়বে, নাকি বাড়বে না।

নানান ধরন ও স্বাদের পনির সহজলভ্য হওয়া কারণে পিৎজা, পাস্তা, স্যান্ডউইচসহ নানান মুখোরোচক ‘ফাস্টফুড’য়ের আবশ্যক উপকরণে পরিণত হয়েছে চিজ বা পনির। এমনকি স্বাস্থ্যকর সালাদের ওপরেও পনিরের কুচি মিশিয়ে খাওয়া হয়।

স্বাস্থ্যের ওপর পনিরের প্রভাব- ভালো মন্দ দুই দিকই আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সনদস্বীকৃত পুষ্টিবিদ, ‘ফাইনালি ফুল, ফাইনালি স্লিম’ এবং ‘দ্য পোর্শন টেলার প্ল্যান’ বই দুইটির রচয়িতা ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ লিসা ইয়ং বলেন, “পনির খাওয়ার পরিমাণই বলে দেবে সেটি আপনার কোমরের বেড়ের জন্য ভালো হবে, না-কি মন্দ।”

ভালো দিক

ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লিসা ইয়ং বলেন, “দুইটি উপকারিতা আছে চিজ বা পনিরের। এতে আছে প্রোটিন এবং সাহায্য করে ওজন কমাতে। প্রোটিন থাকার কারণে চিজ লম্বাসময় পেট ভরা রাখে, ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমে। প্রোটিন হজম করতে সময় বেশি প্রয়োজন হয় বলেই লম্বাসময় পেটে জমা থাকে।”

ইউ.এস. ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার’য়ের তথ্য মতে, ‘লো ফ্যাট কটেজ চিজ’য়ের সবচাইতে বেশি পরিমাণে প্রোটিন মেলে। এই পনিরের এক কাপ যোগায় প্রায় ২৪ গ্রাম প্রোটিন।”

“আংশিক ননিমুক্ত পনির ওজন কমানোর জন্য আদর্শ। এক্ষেত্রে ‘পার্ট-স্কিম মোৎজারেল্লা চিজ’ হবে দারুণ। এই পনিরের এক কাপে মেলে প্রায় ২০ গ্রাম প্রোটিন।”

মন্দ দিক

পরিমাণে বেশি খেলে উপকারী পনির হয়ে যায় অপকারী।

ডা. ইয়ং বলেন, “পনিরে ক্যালরি বেশি। তাই প্রতিদিন এক থেকে দুই আউন্সের বেশি খাওয়া উচিত হবে না। বেশি খেলে তা ওজন বাড়াবে দ্রুত। যেমন- ‘বোর’স হেড হোয়াইট আমেরিকান চিজ’য়ের দুই ‘স্লাইস’য়ে থাকে ১১০ ক্যালরি। আপাতদৃষ্টিতে তা সামান্য মনে হতে পারে। তবে নিয়মিত তা খাওয়া হলে দ্রুত ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছায়।”

‘নিউট্রিয়েন্টস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ডা. ইয়ং জানান, “১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সিরা দৈনিক দুগ্ধজাত খাবার বেশিমাত্রায় খেলে দ্রুত তাদের ওজন বেড়ে যায়। অন্য কোনো প্রোটিন ধরনের খাবারের সঙ্গে পনির যোগ করা উচিত নয়।

যেমন মাংস আছে এমন কোনো খাবারে পনির খাওয়া চলবে না। আবার সালাদে ডিম থাকলে পনির বাদ দিতে হবে।

আরও পড়ুন

SCROLL FOR NEXT