লাইফস্টাইল

বিচ্ছেদের অবসাদ দূর করতে

Byলাইফস্টাইল ডেস্ক

যদি নিজেকে শক্ত রাখতে পারেন তাহলে সময়টা আরও কমে আসবে। সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে ‘ব্রেকআপ’ বা বিচ্ছেদের অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসার কিছু পন্থা।

গান শোনা: মন খারাপ? গান শুনুন। কারণ জীবনের সকল পরিস্থিতির জন্যই রয়েছে উপযুক্ত গান। তবে প্রাক্তন সঙ্গীর কথা মনে করিয়ে দিতে পারে এমন গান থেকে সাবধান। মন প্রফুল্ল করে এমন গান শুনতে হবে।

ভারতের মিউজিক থেরাপি বিশেষজ্ঞ রনজিত মিশরা বলেন, “মানসিক অবস্থার উপর সংগীতের রয়েছে যাদুকরি প্রভাব। তাই যে গানগুলো শুনলে নিজের অজান্তেই আপনার পা নেচে উঠে সেগুলো আপনার মন ভালো রাখতে সাহায্য করবে। গান শোনার সময় আমাদের হাত, পা বা মাথা নাচানোর মানে হল- চিন্তার সাগরে হারিয়ে যাইনি বরং গানের সুর উপভোগ করছি।”

একা বেড়িয়ে আসা:
গল্প করা মানুষের অভ্যাস। আর বিষয় যদি হয় ব্রেকআপ তাহলে তো আর কথাই নেই। এ ধরনের মানুষ এড়ানোর সবচাইতে ভালো উপায় হল একা কোথাও বেড়াতে যাওয়া। রোমান্স বাদ তো কি হয়েছে, রোমাঞ্চের স্বাদ নিন। বেড়াতে গিয়ে নতুন মুখের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ মিলবে, আপনার সম্পর্কে যাদের মধ্যে থাকবে ইতিবাচক ধারণা। অতীত নিয়ে উপদেশ শোনার সম্ভাবনাও থাকবে না।

‘সোশাল মিডিয়া’ দূরে রাখা: স্মার্টফোনের কল্যাণে কাজটা কঠিন হতে পারে। তবে বিচ্ছেদের কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকলে প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে তোলা ছবি দেখা এবং তার দৈনন্দিন খবরগুলো জানার অত্যাচার থেকে মুক্তি মিলবে।

অনুসরণকারী হওয়া যাবে না: প্রাক্তন সঙ্গীর একটি হাসিখুশি ছবিই আপনাকে বিষাদগ্রস্ত করতে যথেষ্ট। তাই কোনো অবস্থাতেই প্রাক্তন সঙ্গীর দৈনন্দিন কার্যাবলী জানার উদ্দেশ্যে তাকে অনুসরণ করা যাবে না। প্রাক্তন সঙ্গী কী করছে তার চাইতে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করা বেশি জরুরি। অনুসরণ কখনও স্বাস্থ্যকর নয়, এমনকি বিচ্ছেদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরও।

রোমান্টিক সিনেমা না দেখা: সিনেমা হয়ত বিচ্ছেদের কষ্ট থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে পারে, তবে তা কোনো সমাধান নয়। সিনেমা দেখে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া বা অনুমান করাও উচিৎ নয়। সকল হাসিখুশি দম্পতির প্রেমজীবন ঝামেলা মুক্ত নাও হতে পারে। বরং রোমাঞ্চকর, প্রামাণ্যচিত্র, এমনকি ভয়ের সিনেমাও দেখা যেতে পারে। এগুলো আপনার মনকে ব্যস্ত রেখে মন খারাপ করার চিন্তগুলো দূরে রাখবে।

শখ পূরণ:
সম্পর্কবিষয়ক পরামর্শদাতা রেমা শুকলা বলেন, “বিচ্ছেদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বেশ কষ্টসাধ্য, আর একমাত্র সময়ই পারে এই ক্ষত পূরণ করতে। তবে আমাদের উচিত মন ভালো রাখে এমন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা এবং কষ্টগুলো ভুলে থাকার চেষ্টা করা। বাগান করা, বই পড়া, ছবি আঁকা, গান বাজনা করা যেটাই আপনার ভালো লাগে সেই কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।”

বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা না করা: ক্লিনিকাল মনোবিজ্ঞানী সুজাতা প্রভু বলেন, “বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ে সময় কাটানোর উপযুক্ত সঙ্গী হতে পারে বন্ধুমহল। তবে বন্ধুমহলে আলোচনার বিষয় যদি আপনার বিচ্ছেদ হয়, তাহলে ঘটতে পারে হিতে বিপরীত। তাই এসময় আপনার প্রেমজীবন সম্পর্কে অতি উৎসাহী বন্ধুদের কাছ থেকে একটু দূরে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।”

ছবি: রয়টার্স।

SCROLL FOR NEXT