চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় সোমবার বিকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।

)<div class="paragraphs"><p>চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় সোমবার বিকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।</p></div>
চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সংঘর্ষ: বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশে চার মামলায়

Byচট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে আসামি করে চারটি মামলা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবির জানিয়েছেন, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দণ্ডবিধি, সন্ত্রাস বিরোধী আইন এবং বিস্ফোরক আইনে সোমবার গভীর রাতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

এর মধ্যে জেলা পুলিশ একটি এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশ বাদী হয়ে তিন মামলা করেছে।

ওসি বলেন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ছাড়াও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে রহমান শামীম, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ শতাধিক নেতাকর্মীর নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় মিরসরাই থানা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে চার পুলিশ সদস্যকে আহত করার অভিযোগ করা হয়েছে। যেখানে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়।

আর কোতোয়ালি থানা পুলিশের করা তিন মামলার মধ্যে পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় ৯০ জন এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় দুই শতাধিক আসামি করা হয়েছে।  

দশ দফা দাবি আদায় এবং বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার চট্টগ্রামে নাসিমন ভবনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা।

ওই সময়ে নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

বিক্ষোভের সময় ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়; সড়কে যানবাহন ও দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে জানান নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান।

পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ট্রাফিক পরিদর্শক বিপ্লব বড়ুয়া, কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান আছেন আহতদের মধ্যে।

ওই সময় আদালতে আসামি রেখে ফেরার পথে মিরসরাই থানা পুলিশের একটি গাড়িতে হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা। এতে মিরসরাই থানার চার পুলিশ সদস্য আহত হন। সে সময় অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়।

অন্যদিকে নগর বিএনপির আহ্ববায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের ভাষ্য, “আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি দিলেও কাজীর দেউড়ি মোড়ে ‘ব্যারিকেড’ দিয়ে যুবদলের একটি মিছিল আটকে দেওয়া হয়, তাদের পেছনে স্বেচ্ছাসেবক দলেরও একটি মিছিল ছিল। যুবদল কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে আসার চেষ্টা করলে বিনা উসকানিতে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং ছররা গুলি ছেঁড়ে। তাতে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

“কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এক কর্মীর চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছে।”

SCROLL FOR NEXT