)
চট্টগ্রাম

পাহাড় ধসে মৃত্যু: প্রকল্প পরিচালক-ওয়ার্ড কাউন্সিলের বিরুদ্ধে মামলা

Byচট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে মাটি চাপায় এক শ্রমিকের মৃত্যুর ছয় দিন পর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশনের তিন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার রাতে আকবর শাহ থানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাছান আহম্মদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন বলে জানান ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর।

গত শুক্রবার বিকালে আকবর শাহ থানার বেলতলী ঘোনায় এডিবির অর্থ সহায়তায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে রাস্তা নির্মাণের সাথে রিটেইনিং ওয়াল তোলার সময় পাহাড়ের মাটি ধসে ওই শ্রমিক নিহত ও তিনজন আহত হন।

এঘটনায় নিহত শ্রমিক মুজিবুর রহমান খোকার স্ত্রী বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তিনদিন পরে পরিবেশ অধিদপ্তর আরেকটি মামলা করল।

মামলার আসামিরা হলেন- সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্পের পরিচালক আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, অপর নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ প্রকল্প পরিচালক জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ওয়ালি আহমেদ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবি হকে ব্রাদার্সের ওমর ফারুক ও তাকিয়া বেগম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জুহুরল আলম জসিম ও মোহাম্মদ ইসমাইল।

পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, গত শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৫০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগেও ওই স্থানে পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, পাহাড় কাটার মাধ্যমে পরিবেশ প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় এবং সামনের বর্ষা মৌসুমে পরিবেশ ও প্রতিবেশ এবং জানমালের ক্ষতি আরও বেশি হবার আশংকা করা হচ্ছে। সেকারণে এ মামলা করা হয়েছে।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ওই স্থানে ১৩ হাজার ৩০০ ঘনফুট পাহাড় কাটার ঘটনা প্রমাণ মেলার পর সিটি করপোরেশন, সিডিএ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নোটিস দেওয়া হলেও এ বছরের শুরুতে হওয়া শুনানিতে তারা কেউ হাজির হননি।

পাহাড় ধসে মানুষ মৃতুর স্থানে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার সত্যতা পান এবং এস্কেবেটরসহ একজনকে আটক করেন।

SCROLL FOR NEXT