চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তাদের আচরণ ছিল ‘মারমুখী’, বিএনপির বিবৃতি

Byচট্টগ্রাম ব্যুরো

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর শাখার প্যাডে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে সংঘর্ষের ঘটনার মামলায় বিএনপি নেতাদের আসামি করার প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দিন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রোজী কবির, গোলাম আকবর খন্দকার, এসএম ফজলুল হক ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের পক্ষে বিবৃতিটি পাঠানো হয়।

তারা বলেন, দেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তির ও দলের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধানস্বীকৃত অধিকার। কিন্তু বুধবার তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালায়। এতে বহু নেতাকর্মী আহত হন।

সমাবেশে শেষে ফিরে যাওয়ার পথে পুলিশ বিএনপি’র ৪৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, “এসময় পুলিশের কিছু কর্মকর্তার আচরণ ছিল মারমুখী। তারা অনেকটা ইচ্ছে করেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।”

দশম সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকীতে বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান বিএনপি নেতাকর্মীরা।

সেখানে পুলিশকে লক্ষ করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। মানববন্ধনে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তিও হয়।

নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আমিনুল ইসলামসহ চার পুলিশ সদস্য সেখানে আহত হন। বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীও আহত হয়েছেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

পরে দলটির ৪৪ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় দায়ের করা মামলা করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, ইয়াছিন চৌধুরী, মোশারফ হোসেন দীপ্তি ও আব্দুল মান্নানসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।

SCROLL FOR NEXT