চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সেকান্দর হায়াত খানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় আ জ ম নাছির উদ্দীন।

)<div class="paragraphs"><p>চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সেকান্দর হায়াত খানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় আ জ ম নাছির উদ্দীন।</p></div>
চট্টগ্রাম

ভিন্ন মত থাকলে দলীয় ফোরামে বলুন: নাছির

Byচট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে বিক্ষুব্ধরা প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ করার প্রেক্ষাপটে সাংগঠনিক বিষয়ে মতভিন্নতা থাকলে দলীয় ফোরামে তা আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন দলের নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বুধবার নগরীর মোহরায় চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সেকান্দর হায়াত খানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগর কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

নাছির বলেন, “কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সকল কার্যক্রম এবং ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের সম্মেলনগুলো মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হতে চলেছে।

“মহানগর আওয়ামী লীগ সম্পন্ন গণতান্ত্রিক ও বৈধ পন্থায় সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ যদি একে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাহলে তিনি সত্যিকার অর্থেই দলীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে ব্যক্তি স্বার্থকেই বড় করে দেখছেন এবং কেন্দ্রের নির্দেশনা ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন।”

তিনি বলেন, “আমরা যারা দলের পদ-পদবীধারী তাদেরকে সাংগঠনিক নির্দেশনা, নীতি-আদর্শগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। আমাদের সকলের একমাত্র নেতা হচ্ছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা তারই একজন কর্মী মাত্র। তাই আমরা কেউ উনার সিদ্ধান্ত ও কথার বাইরে যেতে পারি না।

“কোনো বিষয়ে ভিন্ন মত থাকলে তা দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা যায়। কিন্তু প্রকাশ্যে ভিন্নমত পোষণ করে, পত্র-পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে, মোবাইলে স্ট্যাটাস দিয়ে নির্লজ্জ মন্তব্য করেন। তিনি সত্যিকার অর্থে দলের প্রতিপক্ষ। এদের বিরুদ্ধে সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।”

চট্টগ্রামে ওয়ার্ড ও থানা কমিটিগুলোর সম্মেলন শেষ করে নগর সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি নির্দেশ দেন। এরপর গত শনিবার ওয়ার্ড সম্মেলন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

গত শনিবার নগরীর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণা হয়, যাতে ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকসহ প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের বাদ দিয়ে সম্মেলন আয়োজনের অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে মহিউদ্দিন অনুসারী নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

একদিন পর নগরীর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের সম্মেলন হয় এমইএস স্কুলের মাঠে স্কুলে ক্লাস চলাকালেই। সেদিনও মহিউদ্দিনের অনুসারীরা সম্মেলন চলাকালে জেলা পরিষদ চত্বরে মিছিল সমাবেশ করে।

বুধবারের স্মরণ সভায় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের জন্যে একটি অগ্নি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলে জাতীয় অস্তিত্ব হুমকির মুখোমুখি পড়বে। আমাদের অর্জিত সকল অর্জন ধুয়ে মুছে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সমগ্র জাতি।”

নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মো. হোসেন, জোবাইরা নার্গিস খান প্রমুখ।

SCROLL FOR NEXT