ঘুম তার ভালো হওয়ারই কথা। অভিষেকেই খেলেছেন ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। নজর কেড়েছেন দারুণ পরিণত ব্যাটিংয়ে।
শুরুটায় অবশ্য একটু অস্বস্তি ছিল ব্যাটিংয়ে। টেস্ট অভিষেকে সেটি অস্বাভাবিকও নয়। চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর আগে টেন ক্রিকেটকে মোসাদ্দেক বললেন, সেই সময়টায় সাহস জুগিয়েছিলেন উইকেটে সঙ্গী সাকিব।
“উইকেটে যাওয়ার পর একটু নাভার্স ছিলাম। তখন সাকিব ভাই এসে সাহস দিয়েছেন। বলেছেন, চাপ নেওয়ার কিছু নাই। রিল্যাক্স থাকতে বলেছেন।”
পরে সেই সাকিবের সেঞ্চুরির সময় মোসাদ্দেকের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। গিয়ে জড়িয়ে ধরেছেন ভীষণ আন্তরিকতায়।
“সাকিব ভাই সেঞ্চুরি করায় খুব খুশি হয়েছি। দলের জন্য, নিজের জন্য দারুণ একটি ইনিংস খেলেছেন।”
শুরুর জড়তা খানিক পরই কাটিয়ে উঠেছেন মোসাদ্দেক। খেলেছেন দুর্দান্ত সব শট। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার প্রতিভা ও সামর্থের কথা জানান দিয়েছেন অনেকবারই। অভিষেকে চমকে দিয়েছেন জোন্স, রাসেল আর্নল্ডদের।
প্রশ্ন হলো তার ব্যাটিং পজিশন নিয়েও। ঘরোয়া ক্রিকেটে মিডল অর্ডারে ব্যাট করলেও টেস্টে নামার কথা ছিল সাতে। আগের দিন নাইটওয়াচম্যান ব্যাট করায় নামতে হয়েছে আটে। মোসাদ্দেক তুলে ধরলেন দলের বাস্তবতা।
প্রথম ইনিংস মোসাদ্দেককে জুগিয়েছে সামনে এগিয়ে চলার বিশ্বাস। সেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন কণ্ঠেও।
“এই ইনিংস থেকে যেটা শিখেছি যে আমি উইকেটে টিকে থাকলে যে কোনো কিছুই করতে পারি। দলের জন্য, নিজের জন্য রান করতে পারি।”
ময়মনসিংহের ছেলে জানালেন, অভিষেকে ভালো করায় বাড়ির সবাইও খুব খুশি।
“পরিবারের সবাই খুব খুশি। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলেছি। রান করেছি। সবাই খুব খুশি।”
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মোসাদ্দকের বোলিংয়ের হাতও খারাপ না। তরুণ ক্রিকেটার এবার চান উইকেটের খাতা খুলতে।
“বোলিং করলে অবশ্যই চেষ্টা করব উইকেট নিতে। এখনও পাইনি। পেলে ভালো লাগবে।”