ক্যাম্পাস

চবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া

Byচট্টগ্রাম ব্যুরো

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ ‘চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার’ (সিএফসি) ও ‘সিক্সটি নাইন’ এর কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবারের সংঘর্ষের জের ধরে বুধবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে ফের উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রলীগের এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ধাওয়া দিলে দুই হলে এই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় দুই পক্ষ থেকে ঢিলও ছোড়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের নেতা রেজাউল হক রুবেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা আজকেও আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করছে। আমারা তাদের প্রতিহত করছি।”

অন্যদিকে একই অভিযোগ করে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-গ্রন্থনা বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল টিপু বলেন, “সিএফসির সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা করার চেষ্টা করছে। তারা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে চাইছে।”

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ষোলশহর রেলস্টেশনে সিক্সটি নাইন গ্রুপের সমর্থকরা সিএফসির সমর্থকদের মারধর করে। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা শাহ জালাল হলে এবং সিএফসি গ্রুপের অনুসারীরা আমানত হলে অবস্থান নেয়।

এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন শহর থেকে ক্যাম্পাসে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ইটের আঘাতে দুইজন আহত হন।

ক্যাম্পাসে সিএফসি গ্রুপ প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর এবং সিক্সটি নাইন সিটি মেয়র আ জ ম নাসিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

SCROLL FOR NEXT