বাণিজ্য

এক মাসে রপ্তানি আয়ে আরেকটি রেকর্ড

Byনিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস মহামারীকালে সঙ্কট কাটিয়ে প্রায় পুরোপুরি সচল হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: সুমন বাবু

রোববার নতুন অর্থবছরের দ্বিতীয় দিন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এমন সুখবরই দিয়েছে। প্রবৃদ্ধিতে বড় উল্লম্ফনের পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আয় এসেছে এ খাত থেকে।

সদ্য সমাপ্ত বছরের সবশেষ মাস ডিসেম্বরে মোট ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, এর চেয়ে বেশি আয় দেশে আসেনি আগে।

এর আগে একক মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছিল সদ্যসমাপ্ত বছরের অক্টোবরে। ওই মাসে মোট পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলারের; প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়েছিল ৬০ শতাংশের বেশি।

ইপিবির তথ্য বলছে, এর আগের মাস ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরেও এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল; প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৮ শতাংশ।

এক মাসের রপ্তানি আয়ের হিসাবে রেকর্ড গড়া সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের পর নভেম্বরে পণ্য রপ্তানি হয় ৪০৪ কোটি ডলারের।

সবশেষ তিন মাসের চাঙ্গা রপ্তানি আয়ের ওপর ভর করে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে রপ্তানিও বেড়েছে অনেক, মোট আয় হয়েছে দুই হাজার ৪৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। 

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছিল এক হাজার ৯২৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের পণ্য। সেই হিসাবে এ সময়ের সার্বিক প্রবৃদ্ধি ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।

রোববার ইপিবি থেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ মাসে ৩৯১ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল।

ঠিক এক বছর আগের ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৩৩০ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের পণ্য। এর মানে হচ্ছে গেল ডিসেম্বরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৪৮ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

মহামারী নিয়ন্ত্রণের লকডাউনের মধ্যে ঢাকার মিরপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

মহামারী নিয়ন্ত্রণের লকডাউনের মধ্যে ঢাকার মিরপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

কোভিডের জড়তা কাটিয়ে চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছে দেশের রপ্তানি খাত। সেই ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বরেও অব্যাহত রয়েছে, যা সার্বিক রপ্তানিকে এগিয়ে দিয়েছে।

অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শেষে রপ্তানিতে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল। অগাস্টের একক মাসে ১৪ দশমিক ০২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এরপর থেকে বাড়তে থাকে রপ্তানি।

আরও পড়ুন:

SCROLL FOR NEXT