দুপুরের তীব্র গরমে ভ্যানচালকের মাথায় ছাতা ধরে আছে এক শিশু। ছবি: তাওহীদুজ্জামান তপু

)<div class="paragraphs"><p>দুপুরের তীব্র গরমে  ভ্যানচালকের মাথায় ছাতা ধরে আছে এক শিশু।&nbsp;ছবি: তাওহীদুজ্জামান তপু</p></div>
বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতে পারে ঢাকায়, তবে ‘স্বস্তি’ আরও পরে

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

অস্থির গরমের মধ্যে দুই দিন পর বৃষ্টির দেখা পেলেও পেতে পারে ঢাকাবাসী, এমন স্বস্তির পূর্বাভাসের সঙ্গে অবশ্য আরও কয়েকদিন তাপপ্রবাহে ধকল সইতে হবে বলেও আগাম জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার রাতে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আগামী বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান।

তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি এও বলেন, “কিন্তু এতে খুশি হওয়ার খুব একটা অবকাশ নেই। কারণ ঢাকায় পরশু দিন (বৃহস্পতিবার) যদি বৃষ্টি হয়ও, এটা তাপমাত্রা কমাতে পারবে না। এটার জন্য আরও চার থেকে পাঁচ দিন অপেক্ষা করতে হবে।”

টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে তপ্ত আবহাওয়ায় দেশের সবখানেই তীব্র গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। এরমধ্যে বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে অসহনীয়। ঘরে-বাইরে দিনে ও রাতে সমান ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবাইকে।

জ্যেষ্ঠের এ খরতাপ থেকে রক্ষা পেতে সবাই তাকিয়ে প্রকৃতির পানে; বৃষ্টি নামলে গরম থেকে মিলবে মুক্তি এমন প্রত্যাশা। তবে আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি দেখে আগামী কয়েকদিনের পূর্বাভাসেও খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার মতো তথ্য নেই।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার আবহাওয়ার বুলেটিনে যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও তেঁতুলিয়ায় যৎসামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করার তথ্য দিয়েছে। এতে তাপমাত্রার তেমন কোনো হেরফের হয়নি। কেননা গত কিছুদিন ধরে সারাদেশের ওপর দিয়ে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তপ্ত হয়েছে উঠছে চারিদিক। দিনের মত রাতের তামপাত্রা বাড়ায় সব বয়সী মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার গত ২৪ ঘণ্টায় যে বৃষ্টিপাত হয়েছে সেটির প্রভাব না থাকার বিষয়ে বলেন, এই বিচ্ছিন্ন বৃষ্টিপাত সারাদেশের সামগ্রিক তাপমাত্রা কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট না।

এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুর ও সৈয়দপুরে। শুধু এ দুই স্থানের বাইরে শুধু রাজশাহীতে ৪০ ডিগ্রির বেশি ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দেশজুড়েই থার্মোমিটারে পারদ যতটা উঠেছিল এর চেয়ে অনেক বেশি গরমের অনুভূতি হয়েছে। এরমধ্যে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে, ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সূর্যের তাপ এখন বেশ প্রখর। ফাইল ছবি

রেকর্ড করা তাপমাত্রার চেয়ে বেশি গরম লাগার কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার বলেন, “বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এত গরম লাগছে।”

ঢাকায় বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনার মতো আগামী ৪-৫ দিন চট্টগ্রামে ও সিলেটে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানান তিনি।

আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের বিষয়ে তিনি জানান, বুধবার এটি স্পষ্ট হবে। সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চিন্তার কিছু নাই।

এদিকে এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এতে বলা হয়, বর্তমানে যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর ও সৈয়দপুর জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট বিভাগের এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও দেশের অন্যান্য স্থানে তাপমাত্রা এবং সব খানে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

SCROLL FOR NEXT