বাংলাদেশ

ফারুকীর খুনি গ্রেপ্তার না হলে রোববার ছাত্রসেনার হরতাল

Byচট্টগ্রাম ব্যুরো

বৃহস্পতিবার বিকালে ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন রব্বানী বলেন, “আমাদের নেতা নুরুল ইসলাম ফারুকীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার না হলে রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে।”

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার মূল সংগঠন ইসলামী ফ্রন্ট ও আদর্শিক সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি দেয়া হলেও হরতালের কোনো ঘোষণা আসেনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে আহলে সুন্নাতের পক্ষ থেকে আগামী ২ সেপ্টেম্বর লালদীঘি মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশসহ সাতদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

নিহত নুরুল ইসলাম ফারুকী ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং চ্যানেল আইয়ের ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন।

ইসলামী ফ্রন্ট জাতীয় রাজনৈতিক সংগঠন হলেও বৃহত্তর চট্টগ্রামেই তাদের সাংগঠনিক শক্তি সবচেয়ে বেশি।

বুধবার রাতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় ঢুকে গলা কেটে ফারুকীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

ওই হত্যাকাণ্ডের খবরে বুধবার রাতেই চট্টগ্রামের মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় বিক্ষোভ ও ভাংচুর করে ফারুকীর সমর্থকরা।

এছাড়া ইসলামী ফ্রন্ট ও ছাত্রসেনার কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগর, আনোয়ারা, হাটহাজারী, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।

আহলে সুন্নাতের  মহাসচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “নুরুল ইসলাম ফারুকী গণমাধ্যমে সুন্নীজনতার পক্ষে ইসলামের শান্তির কথা বলতেন। তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে সুফীবাদের ঐতিহ্য তুলে ধরার চেষ্টা করতেন।

“বাংলাদেশের একটি গোষ্ঠী মাজারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। মাজারকেন্দ্রিক ঐতিহ্যকে উচ্ছেদের চেষ্টা হয়েছে। সুন্নিরা ঐতিহ্য ফিরে পেলে জঙ্গিবাদ এগিয়ে যেতে পারবে না। এ কারণে জঙ্গিরা আলেম-ওলামাদের হত্যার পরিকল্পনা করেছে।”

নিহতের ছেলে ফয়সাল ফারুকী বুধবার রতেই রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বুধবার রাতে ডাকাতি করতে এসে পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় নুরুল ইসলাম ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।

SCROLL FOR NEXT