বাংলাদেশ

চোর ঢুকলেও কোনো দলিল চুরি হয়নি: ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার

Byলিটন হায়দার

রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে এধরনের প্রতিবেদন সোমবার পেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ বলছে, এরপরও ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে তারা।

গত ১৫ জানুয়ারি রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের বাড্ডা ও উত্তরার সাব রেজিস্ট্রার অফিস কক্ষের এবং জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের তালা ভেঙে ঢোকে চোর।

পরদিন সকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে এসে কক্ষগুলো তছনছ অবস্থায় পান এবং কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক ও সিসি ক্যামেরার ডিভাইস খোয়া যাওয়ার বিষয়টি দেখেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং পুলিশের ধারণা ছিল, চোররা জমির মূল্যবান কোনো দলিল বা ভলিউমের পাতা নেওয়ার জন্য এসেছিল।

রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে ১৭৯৪ সাল থেকে দলিল সংরক্ষিত আছে। ১৭৯৩ সালে ঢাকায় প্রথম রেজিস্ট্রি অফিস স্থাপন করা হয়।

আগেও বিভিন্ন সময়ে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের মহাফেজখানা থেকে বালাম বই ও দলিল চুরির ঘটনা ঘটেছে।

২০১৬ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দফা চুরির পর ভবনের বিভিন্ন অংশে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসায় কর্তৃপক্ষ। এবার সেই ক্যামেরা ও হার্ডডিস্কও খোয়া গেল।

এবার কোনো দলিল বা ভলিউম চুরি হয়েছে কি না, তা জানতে শুক্রবার ও শনিবার অফিস খোলা রেখে কাজ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জেলা রেজিস্ট্রার সাবেকুন নাহার মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাড্ডা এবং উত্তরা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বন্ধের দুইদিনসহ টানা কাজ করে নিশ্চিত হয়েছে, কক্ষগুলো তছনছ হলেও কোনো কিছু খোয়া যায়নি। তাছাড়া এই দুই কক্ষে সরকারি ফি’র টাকাও অক্ষত ছিল।”

এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী শরীফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা প্রতিবেদনটি পেয়েছেন, যেখানে কোনো দলিল চুরি না হওয়ার দাবি করা হয়েছে।

“এরপরেও আমরা তদন্ত করছি। যে সব চোরেরা ঢুকেছিল, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা গেলে চুরির রহস্য উদঘাটিত হবে।”

রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স ঘিরে ছয়জন নিরাপত্তাকর্মী আছেন, যারা পালা করে দায়িত্ব পালন করেন থাকেন।

SCROLL FOR NEXT