বাংলাদেশ

মন্ত্রী মোশাররফের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

Byফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কামরুজ্জামান সেলিমকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ও সদর উপজেলার ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান।

এ বিষয়ে গত ১৭ অগাস্ট চিঠি পেয়েছেন জানিয়ে কমিটি প্রধান বলেছেন, পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, “ঢাকায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় মন্ত্রীকে জড়িয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি জমি কেনা সংক্রান্ত যে বক্তব্য দেন তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়।

“এর প্রেক্ষিতে আমরা তিন সদস্যের একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে তার বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে বলা হয়েছে।”

গত ৬ অগাস্ট রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, সম্পত্তি দখল এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে, নির্যাতন চালিয়ে উচ্ছেদের ঘটনায় সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা।

এ প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি, ঠাকুরগাঁওয়ের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম ও পিরোজপুরের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের নাম উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

দুদিন পর ফরিদপুরে এক অনুষ্ঠানে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে হিন্দু সম্পত্তি দখলের অভিযোগ ‘ডাঁহা মিথ্যা’ ও ‘ষড়যন্ত্রমূলক’।”

‘এটি শুধু তার মন্ত্রিত্বের উপর নয়, বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত করার শামিল’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

SCROLL FOR NEXT