সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি।

)<div class="paragraphs"><p>সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি।</p></div>
বাংলাদেশ

সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত: ব্যর্থতা ‘সেঞ্চুরি’র পথে

Byআদালত প্রতিবেদক

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আবার ব্যর্থ হয়েছে র‌্যাব। সে কারণে ৯৮ বারের মত পিছিয়ে আগামী ২২ জুন প্রতিবেদন জমার তারিখ পড়েছে।

সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. রাশিদুল আলম এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে জমার তারিখ ঠিক হয়েছিল ৯৭ বারের মতো।

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয় তথ্য জানতে চাইলেও আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তা পাওয়া যায়নি।

পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মামলাটির নথি হাকিমের খাস কামরা থেকে বের হয়নি।

দুপুরে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখের তথ্য জানা যায়।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি।

সেই রাতে সেই ফ্ল্যাটে তারা দুজনের সঙ্গে ছিল তাদের একমাত্র সন্তান পাঁচ বছর বয়সী মাহিন সরওয়ার মেঘ। তাকে উদ্ধৃত করে পুলিশ তখন জানিয়েছিল, খুনি ছিল দুজন।

আলোড়ন তোলা এই হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর বছরের পর বছর গড়ালেও খুনিরা অধরাই থেকে গেছে।

হত্যাকাণ্ডের পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের রোমান। বিভিন্ন সময়ে মোট আটজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনও পান।

প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্তে নামে। চারদিন পর তদন্তের ভার দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে।

তারা রহস্যের কিনারা করতে না পারায় হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দায়িত্ব পেয়ে ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক পরীক্ষার জন্য ঘটনাস্থল থেকে বটি, পরিধেয় কাপড়সহ বেশ কিছু বস্তু পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবেও পাঠায় র‌্যাব। এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন হিসেবে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও এ হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়নি।

মামলার এখনকার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট খন্দকার শফিকুল আলম ।

তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য গত ৯ এপ্রিল ৯৭ বারের মত তারিখ নেন তিনি। সেদিন ২২ মে সময় বেঁধে দেয় বিচারক।

তদন্ত শেষ করতে দেরি হওয়ায় অসন্তোষও প্রকাশ করেছে আদালত।

SCROLL FOR NEXT