হিলারি না ট্রাম্প?

যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে ১৪ কোটি ভোটার তাদের পছন্দ জানাচ্ছেন ব‌্যালটে; তার ফল জানার জন‌্য তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব- কে হবেন পরাক্রমশালী এই রাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট- হিলারি ক্লিনটন, না ডোনাল্ড ট্রাম্প?

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2016, 06:21 AM
Updated : 8 Nov 2016, 10:30 AM

দীর্ঘ নির্বাচনী প্রচারে এতো বেশি তিক্ততা আর নোংরা বাকযুদ্ধ পেরিয়ে, প্রার্থীদের প্রতি এতোটা আস্থাহীনতা, রাষ্ট্রের ভবিষ‌্যৎ প্রশ্নে এতোটা বিভক্তি নিয়ে এর আগে কখনো আমেরিকানদের ভোটের বুথে যেতে হয়েছে কি না- সে আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। 

কার হাতে দায়িত্ব গেলে বেকারত্ব কমে স্বাস্থ‌্যসেবা বাড়বে, অভিবাসন ও শরণার্থীর স্রোত কে কতটা দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে পারবে, কার পররাষ্ট্রনীতি বিশ্বে আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব নিরঙ্কুশ করতে কার্যকর হবে, শিল্পোৎপাদন আর জলবায়ু পরিবর্তনের সমীকরণ কে কীভাবে মেলাবে, আমেরিকানদের অস্ত্র রাখার অধিকার থাকবে কিনা, গর্ভপাত নিয়ে সরকারের অবস্থান কী হবে- এ বিষয়গুলোও রয়েছে ভোটারদের ভাবনায়।

প্রধান দুই দলের মধ‌্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষে গাধা প্রতীকে লড়ছেন ফার্স্ট লেডি, সিনেটর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা হিলারি ক্লিনটন। আর রিপাবলিকান পার্টি তাদের হাতি প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে নিউ ইয়র্কের ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী আছেন আরও প্রায় দুই ডজন। কিন্তু হিলারি-ট্রাম্প ছাড়া অন্য কারও নাম ৫০ অঙ্গরাজ‌্যের সবগুলোর ব্যালটে থাকবে না। এ দুজনের বাইরে অন্য কারও প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাও কেউ দেখছেন না।

হিলারি ‘আশাবাদী, অংশগ্রহণমূলক ও উদার আমেরিকা’ নির্মাণে সমর্থন দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তার পক্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। 

অন্যদিকে ট্রাম্প বলেছেন, ভাঙা আমেরিকাকে জোড়া লাগানোর জন‌্য তিনিই ‘শেষ সুযোগ’; তিনিই আমেরিকাকে ফিরিয়ে দিতে পারেন শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা। নিজের ব‌্যবসায়িক সাম্রাজ‌্যের অনেক সাফল‌্য তাকে সাহস যোগাচ্ছে। 

কিন্তু নেতা হিসেবে তাদের কাউকেই আমেরিকার পুরনো প্রেসিডেন্টদের পাশে দেখতে চান না অধিকাংশ ভোটার। এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৬৪ শতাংশ ভোটার হাতি ও গাধার এ দুই প্রার্থীকে বিশ্বাস করেন না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারি বা ট্রাম্পকে দেখার চেয়ে আকাশ থেকে উল্কপিণ্ড নেমে আসা দেখতেও স্বস্তি পাবেন বলে জানিয়েছেন তরুণ ভোটারদের একটি অংশ।

দীর্ঘ ১৫ মাসের ভোটের প্রচারে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি আক্রমণের পাশাপাশি ট্রাম্পকে সামলাতে হয়েছে নারীদের নিয়ে বেঁফাস মন্তব‌্যের সমালোচনা, একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ, এমনকি ধর্ষণের মামলাও হয়েছে তার নামে। অন‌্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যক্তিগত ই মেইল সার্ভার ব্যবহার করার ঘটনায় হিলারির দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এসব বিতর্কের মধ‌্যে ভোটের প্রচারের শেষ দুই সপ্তাহে জনমত জরিপের ফল পেন্ডুলামের মত দুলেছে বার বার। রাজনীতিতে অভিজ্ঞ হিলারির কাছে ট্রাম্প পাত্তা পাবেন না বলে প্রাথমিকভাবে ভাবা হলেও মঞ্চ মাতানোর অভিনব কৌশলে ট্রাম্প ঠিকই উৎরে গেছেন।  

অবশ‌্য ভোটের আগে শেষ জরিপে হিলারিকেই এগিয়ে রেখেছে অধিকাংশ আন্তর্জাতিক গণমাধ‌্যম। রয়টার্স-ইপসোস জরিপ বলছে, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে হারিয়ে ডেমক্রেট প্রার্থী হিলারির জয়ের সম্ভাবনা প্রায় ৯০ শতাংশ। আর সর্বশেষ পাঁচটি জরিপের গড় করে বিবিসির জরিপে হিলারিকে ট্রাম্পের তুলনায় চার পয়েন্ট এগিয়ে রাখা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত যেই বাজিমাত করুক, এ নির্বাচন ঘিরে আমেরিকার সমাজে তৈরি হওয়া বিভক্তি দূর করাই হবে তার সবচেয়ে বড় চ‌্যালেঞ্জ।

ভোট বৃত্তান্ত

যুক্তরাষ্ট্র সময় মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় ভোটযুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি ভিন্ন টাইম জোনের কারণে ভোট শুরুর সময় এলাকাভেদে আলাদা হবে।

নিবন্ধিত ভোটাররা কেবল প্রেসিডেন্ট আর ভাইস প্রেসিডেন্টই নির্বাচন করবেন না; তাদের ভোটে সিনেট ও কংগ্রেসেও রদ-বদল আসবে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোট চলবে। রাজ্যভেদে ভোট গ্রহণের এ আলাদা সময়ের কারণে আলাস্কার মত পশ্চিমের রাজ্যগুলোর ভোটাররা অন্য রাজ‌্যের ভোটের হাওয়া সম্পর্কে আগেই আঁচ পেয়ে যান।

এবারের নির্বাচনে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১৪ কোটি ৬০ লাখ ভোটার ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ‌্যে রেকর্ড ৪ কোটি ৪৯ লাখ ভোটার পোস্টে বা বুথে গিযে আগাম ভোট দিয়েছেন ইতোমধ‌্যে। 

একদিকে ভোট শেষ হবে, অন্যদিকে প্রায় তখন থেকেই শুরু হবে ভোটের ফল জানানো। গত কয়েকবার নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডিক্সভিল নচ এলাকার ভোটের ফলই সবার আগে জানা গেছে। এরপর একে একে অন্যসব কেন্দ্রের ফলাফলে নির্ধারিত হবে- প্রেসিডেন্ট হয়ে কে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউজে।

অবশ‌্য সরাসরি ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। সরাসরি ভোটে রাজ‌্যগুলোর ইলেকটোরাল কলেজের সদস‌্যরা নির্বাচিত হন। তাদের ভোটে হন প্রেসিডেন্ট।

ইলেকটোরাল কলেজের সদস‌্য সংখ‌্যা ৫৩৮ জন। প্রেসিডেন্ট হতে হলে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত করতে হয়। তাই কম ভোট পেয়েও ইলেকটোরালে ভোট বেশি পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার নজির রয়েছে।

দুটি বাদে অন‌্য সব রাজ‌্যে যে দল বেশি ভোট পায়, রাজ‌্যের জন‌্য বরাদ্দ করা ইলেকটোরাল ভোটের সবগুলোই সেই দলের পকেটে যায়। তবে মেইন ও নেব্রাস্কায় মোট ভোটের সংখ‌্যানুপাতিক হারে ইলেকটোরাল কলেজের সদস‌্য নির্বাচিত হন।

ইলেকটোরাল কলেজের নির্বাচিতরা দল থেকে আগেই মনোনীত থাকেন বলে তাদের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ঘটনা বিরল; যদিও কিছু রাজ‌্যে ইলেকটোরাল কলেজে নির্বাচিতদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। 

ইলেকটোরাল কলেজে সবচেয়ে বেশি ভোট ‌ক‌্যালিফোর্নিয়ায় ৫৫টি, এরপরে টেক্সাসে রয়েছে ৩৮টি, নিউ ইয়র্কে ২৯টি।

নির্বাচনের আগের দিন রিপাবলিকান-ডেমোক্রেট দুই শিবিরই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের কথা বলেছে। দুই শিবিরই শেষ দিন প্রচার চালিয়েছে দোদুল্যমান তিন রাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া ও মিশিগানে।

কোনো দলের নিরঙ্কুশ আধিপত‌্য নিশ্চিত না হওয়ায় এসব রাজ‌্য পরিচিতি পেয়েছে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ হিসেবে। এর মধ‌্যে নর্থ ক‌্যারোলাইনায় ইলেকটোরাল ভোট ১৫টি, ফ্লোরিডায় ২৯টি, পেনসিলভেনিয়ায় ২০টি, মিসিগানে ১৬টি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব রাজ্যের দ্বিধাগ্রস্ত ভোটাররাই হয়ত ঠিক করে দেবেন- আগামী ২০ জানুয়ারি কে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন, হিলারি না ট্রাম্প।

বিতর্ক, তিক্ততা

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখানোর পরপরই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সময়েই মেক্সিকানদের ‘ধর্ষক ও সন্ত্রাসী’ বলে আলোচনায় চলে আসেন এ রিপাবলিকান। এরপর অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ কঠোর করা, মুসলমানদের ‘তাড়িয়ে’ দেওয়া নিয়ে মন্তব‌্য করেও সমালোচিত হন।

বিচারক, সাবেক মিস ইউনিভার্স, ফক্স নিউজের একজন উপস্থাপক, মুসলিম পরিবারের এক যুদ্ধাহতকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেও ট্রাম্প খবরের শিরোনাম হয়েছেন।

হিলারি শিবিরের বিরূপ প্রচারের পরও এই রিয়েল এস্টট ব‌্যবসায়ী ১৮ বছর ধরে দেওয়া তার ট্যাক্স রিটার্নের কপি দেখাননি। এড়িয়ে গেছেন নিজের দাতব্য সংস্থা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনাও।

গত ৭ অক্টোবর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০০৫ সালের একটি ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে নারীদের নিয়ে আপত্তিকর কথা বলতে শোনা যায় ট্রাম্পকে।

ট্রাম্প সেই টেপকে ‘লকার রুমের’ কথা বলে উড়িয়ে দিতে চাইলেও প্রভাবশালী অনেক সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান তার উপর থেকে সমর্থন তুলে নেন।

এরপর বেশ কয়েকজন নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। ট্রাম্প অবশ্য সবগুলো অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার ভাষায়, এ সবই ‘সাজানো’ ঘটনা, ডেমোক্রেটদের ‘ষড়যন্ত্র’।

অভিযোগকারী নারীদের ‘মিথ্যাবাদী’ অ্যাখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।

নানা বিতর্কে প্রভাবশালী অনেক সমর্থক হারালেও আত্মবিশ্বাস কমেনি ট্রাম্পের। বলেছেন, নির্বাচনে তিনিই জিতবেন এবং দেখিয়ে দেবেন ‘কীভাবে জিততে হয়’। বলেছেন, ভোটের ফল তিনি মেনে নেবেন, যদি তিনি জয় পান।

প্রচারের সময়ে হিলারিকেও ব্যক্তিগত ই মেইল সার্ভার ব‌্যবহার নিয়ে সমালোচিত এবং এফবিআইয়ের তদন্তের মধ‌্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব দেখা গেছে জনমত জরিপে। অবশ‌্য ভোটের দুদিন আগে এফবিআই জানিয়েছে, ই মেইলে তারা হিলারির কোনো দোষ পায়নি। তাতে চাঙ্গা হয়েছে বিশ্ব বাজার। 

ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে বিদেশি রাষ্ট্রের অর্থ সাহায্য নিয়েও বারবার প্রশ্ন তুলেছে ট্রাম্প শিবির। সেখানে অর্থ দেওয়া অনেকে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকেও অর্থ যোগাচ্ছে বলে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের দাবি।

ডেমোক্রেটরা বরাবর বলে আসছে, ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পুতিনের অনুগত হ্যাকাররাই ডেমোক্রেটদের সার্ভারসহ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হ্যাক করে ইমেইল ফাঁস করছে বলে হিলারি শিবিরের অভিযোগ।

প্রচারের শেষ দিকে ক্যাম্পেইন ম্যানেজার জন পডেস্টা এবং আরও কয়েকজন শীর্ষ ডেমোক্রেট কর্মকর্তার ফাঁস হওয়া ইমেইল, সেই সঙ্গে স্বামী বিল ক্লিনটনের নারীঘটিত বিষয়গুলো সমস্যায় ফেলেছে সাবেক ফার্স্টলেডি হিলারিকে।  

দুই প্রার্থী কোথায়

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে আলোচিত বিভিন্ন ইস‌্যুতে প্রধান দুই দলের প্রার্থীর দূরত্ব স্পষ্ট। এর মধ্যে আছে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, কর ব্যবস্থা সংস্কার, গর্ভপাত, স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়।

হিলারি চান বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মত কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন করতে, ট্রাম্পের ইচ্ছা মার্কিন জনগণের জন্য অস্ত্র আরও সহজলভ্য করতে।

মধ্যবিত্তের কর কমিয়ে ধনাঢ্যদের আরও বেশি করের আওতায় আনতে চান ডেমোক্রেট হিলারি; ট্রাম্পের চাওয়া ধনীদের কর কমিয়ে ওই অর্থ দিয়ে আরও কর্মসংস্থান বাড়ানো।

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তুলে এবং মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশে বাধা দিয়ে অভিবাসন প্রক্রিয়াকে কঠোর করার ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির কড়া সমালোচক হিলারি চান আমেরিকায় অভিবাসীদের প্রবেশ আরও সহজ করতে।

ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনে হওয়া বর্তমান চুক্তি এবং চীন, মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারেও নাখোশ। নেটো জোটে অংশীদারদের ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব আছে এ রিপাবলিকান প্রার্থীর।

তবে দুই প্রার্থীই ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তির কড়া সমালোচক; দুজনই চান স্বাস্থ্যসেবার আওতা বিস্তৃত হোক।

দেশের বাইরেও ট্রাম্পের ব্যাপক সমালোচক রয়েছে। মেক্সিকোতে ট্রাম্পের পরাজয় কামনা করে প্রার্থনা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রিপাবলিকান প্রার্থীকে দেখলেই তার বমি পায়।

তবে এ উদ্বেগকে ‘অহেতুক’ বলেছে ট্রাম্প শিবির। রিপাবলিকান প্রার্থীর ক্যাম্পেইন ম্যানেজার ক্যালিয়ান কনওয়ে সোমবার বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প যে কারণে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন এবং বৈশ্বিক প্লাটফর্মে তার চরিত্র কেমন হবে- বাইরের উদ্বেগ কোনোভাবেই তার প্রতিফলন নয়।”

আরও পড়ুন