সবার চোখ এখন মধুচন্দ্রিমায়

প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের বিয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই সবার আগ্রহ এখন তাদের মধুচন্দ্রিমার দিকে। দাম্পত্য জীবনের প্রথম পাঠ নিতে, একান্তে সময় কাটানোর জন্য কোথায় যাচ্ছেন এই রাজকীয় দম্পতি!

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2011, 02:04 AM
Updated : 30 April 2011, 02:04 AM
লন্ডন, এপ্রিল ৩০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের বিয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই সবার আগ্রহ এখন তাদের মধুচন্দ্রিমার দিকে। দাম্পত্য জীবনের প্রথম পাঠ নিতে, একান্তে সময় কাটানোর জন্য কোথায় যাচ্ছেন এই রাজকীয় দম্পতি!
শনিবার তাদের মধুচন্দ্রিমা যাপনের স্থানের নাম প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
শুক্রবার ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে সবচে' আড়ম্বরপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বান্ধবী কেটকে বিয়ে করলেন উইলিয়াম।
কেটের বিয়ের পোশাকের পরিকল্পনাকারীর নাম থেকে শুরু করে মধুচন্দ্রিমা পালনে তারা কোথায় যাচ্ছেন- এ ধরনের অনেক তথ্যই এখনো পর্যন্ত আড়াল করে রাখা হয়েছে।
তবে তাতে করে ভবিষ্যতবাণী করা থেকে দমিয়ে রাখা যায়নি সংবাদ মাধ্যমগুলোকে।
মধুচন্দ্রিমার সম্ভাব্য স্থান হিসেবে উঠে এসেছে সিসিলি, কেনিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুজতিক, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এলাকার একটি দ্বীপ, গ্রিসের কোর্ফু দ্বীপ, তাসকানের একটি অবকাশ যাপন কেন্দ্র এবং ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের সিলি দ্বীপপুঞ্জের নাম।
বিভিন্ন বাজিকর প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে মুজতিককে শীর্ষ পছন্দ ধরে বাজির খাতা খুলেছে। এরপরেই রয়েছে জর্ডান, সিসিলি ও অস্ট্রেলিয়ার নাম।
উইলিয়াম আর কেটের প্রতিটি কর্মকা-ের প্রতি মানুষ ও গণমাধ্যমের বিপুল আগ্রহই বলে দেয় ভবিষ্যত রাজা ও রাণী হিসেবে কী পর্বতসম চাপ তাদের সামলাতে হবে। গণমাধ্যমের স্পটলাইটের পূর্ণ আলো এখন তাদের উপর।
উইলিয়াম-কেটের প্রতি এ বিপুল আগ্রহের সঙ্গে উইলিয়ামের মা প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার প্রতি গণমাধ্যমের একই ধরনের আগ্রহের একটি অস্বস্তিকর মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।
১৯৯৭ সালে মিডিয়ার বিপুল আগ্রহের কারণে 'পাপারাজ্জি'দের হাত থেকে পালাতে গিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান ডায়ানা।
ডায়ানার মৃত্যুর আগে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার ঘটনা রাজ পরিবারের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে ধরে নেওয়া হয়।
৩৫০ বছরের মধ্যে রাজপুত্রবধূদের মধ্যে কেট মিডলটনই সাধারণ পরিবার থেকে আসা প্রথম নারী। কেটের কারণে প্রিন্স উইলিয়ামও ব্রিটিশ জনগণের কাছে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে মন্তব্য করেছে দেশটির গণমাধ্যম।
তবে সবার কাছেই যে এ রাজকীয় বিয়ে আগ্রহের বিষয়, এমন নয়।
লন্ডনের ২৯ বছর বয়সী সমাজকর্মী জেসামি বার্কার বলেন, আমাদের দেশের অনেক মানুষের যখন রাষ্ট্রীয় অধিকার পূরণ হচ্ছে না, তখন রাজ পরিবার অনেক বেশি অধিকার পাচ্ছে। যাদের সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়নি এমন দুজন মানুষের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য অর্থ এই মুহূর্তে আমাদের জোগাড় করতে হচ্ছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/কিউএইচ/সিআর/১৩৫৩ ঘ.