বৃহস্পতিবার আইএই’র সঙ্গে ইরানের দু’দিনব্যাপী আলোচনা শেষে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে বলে এক কূটনীতিক জানিয়েছেন।
১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ইরানের রাজধানী তেহরানে দুদিনব্যাপী বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের বৈঠক ব্যর্থ হলেও ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে আবার দুপক্ষ বৈঠকে বসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে এবারের বৈঠক ব্যর্থ হওয়ায় ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমা উদ্বেগ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এতে ইরানের পরমাণু প্রকল্পকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা হ্রাস করার উদ্যোগ আবার ধাক্কা খেল।
ইরানের পরমাণু প্রকল্পে সন্দেহজনক সামরিকায়নের বিষয়টি তদন্ত করতে ইরানে পরমাণু বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে চায় আইএইএ। কিন্তু পরমাণু প্রকল্পে কোনো সামরিক সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে ইরান।
এতে ইরানের পরমাণু প্রকল্প পরিদর্শনে ইচ্ছুক আইএইএ’র সঙ্গে ইরানের পারস্পরিক আলোচনায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে। কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হচ্ছে একের পর এক বৈঠক।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রকল্পের অজুহাতে পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা করছে ইরান। বিশ্বব্যাপী পরমাণু অস্ত্র রোধ করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএইএ পশ্চিমাদের সন্দেহ নিরসন করার প্রচেষ্টায় ইরানের পরমাণু প্রকল্পগুলো পরিদর্শন, সেগুলোর কর্মকর্তা ও নথিপত্র তদন্ত করে দেখতে চায়।
কিন্তু নিজ অবস্থানে অনড় ইরান দাবি করেছে, শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রকল্প প্রত্যেক দেশের ন্যায্য অধিকার। আর তাদের পরমাণু প্রকল্পের উদ্দেশ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চিকিৎসা গবেষণা।
কিন্তু ইরানের এই দাবি মানতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র ইসরায়েল। ইরানের পরমাণু প্রকল্পে হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে ইসরায়েল।
এ রকম কিছু হলে ব্যাপক যুদ্ধ শুরু করারও পাল্টা হুমকি দিয়েছে ইরান।
সেক্ষেত্রে ইরানের পরমাণু প্রকল্পে যে কোনো ধরনের হামলায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ভয়াবহ যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।
যুদ্ধের এ সম্ভাবনা রোধ করার লক্ষ্যেই কাজ করছে জাতিসংঘ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এবি/সিআর/১৩৪৪ ঘ.