শনিবার দিয়ালা সেতুর কাছে ইবনে খাতিব হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাংক বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার এ ঘটনায় আরও ১১০ জন আহত হয়েছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“ভবিষ্যতে এ ধরনের বেদনাদায়ক র্ঘটনা যেন আর না ঘটে তা নিশ্চিত করতে জরুরিভিত্তিতে সব হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা দরকার,” রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হতাহতের সংখ্যা জানানোর পর এমনটাই বলেছেন মুখপাত্র খালিদ আল-মুহানা।
ইরাকের আধা-সরকারি মানবাধিকার হাইকমিশনের সদস্য আলি বায়াতি এর আগে হাসপাতালটিতে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪৫ এ থাকতে পারে বলে ধারণা দিয়েছিলেন।
প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিলেন।
ছবি: রয়টার্স।
“আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল, আমি আমার ভাইকে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসি, এরপর চেকপয়েন্টে যাই। পরে আমি ফের হাসপাতালটিতে যাই, একেবারে শেষ তলায় যাই, যেটি পোড়েনি। সেখানে ১৯ বছর বয়সী এক মেয়েকে খুঁজে পাই, যার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।
“আমি তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে নিচে নেমে আসি। লোকজন লাফিয়ে পড়ছিল, চিকিৎসকরা গাড়ির ওপর পড়ছিলেন। সবাই লাফিয়ে পড়ছিল। আর আমি বারবার হাসপাতালের ভেতর যাচ্ছিলাম, লোকজনকে নিয়ে বেরিয়ে আসছিলাম,“ বলেছেন চিকিৎসাধীন ভাইকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়া আহমেদ জাকি।
ছবি: রয়টার্স।
দীর্ঘ দিনের অবরোধ, যুদ্ধ আর অবহেলার কারণে ইরাকের রুগ্ন স্বাস্থ্যসেবা খাত চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর সময় যথেষ্ট চাপে আছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ২৫ হাজার ২৮৮ জন; মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ২১৭ জনের।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কাদিমি শনিবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।