ফুকুশিমা কেন্দ্রের মেরামতি কাজ ব্যাহত

জাপানের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিন শ্রমিক তেজস্ক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে কেন্দ্রটি মেরামতের প্রচেষ্টা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2011, 04:52 AM
Updated : 25 March 2011, 04:52 AM
টোকিও, মার্চ ২৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- জাপানের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিন শ্রমিক তেজস্ক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে কেন্দ্রটি মেরামতের প্রচেষ্টা।
ফলে জাপানে ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর পারমাণবিক এ সঙ্কট নিয়ে বিশ্বে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে।
গত ১১ মার্চ জাপানে ৮ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর প্রভাবে সৃষ্ট ৩৩ ফুট উঁচু সুনামিতে পূর্ব ঊপকূলীয় অঞ্চলের ছোট-বড় বেশ কয়েকটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসময় টোকিও থেকে ২৪০ কিলোমিটার উত্তরে ফুকুশিমায় অবস্থিত ছয় চুল্লীবিশিষ্ট পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে এর কয়েকটি চুল্লী থেকে তেজস্ক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার প্রকল্পের তিন নম্বর চুল্লীটির পাশে একটি তার মেরামত করার সময় তীব্র তেজস্ক্রিয়ায় আক্রান্ত হন তিন শ্রমিক।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেজস্ক্রিয়া দূষিত পানিতে দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় তাদের জুতো ভেতরে পানি ঢুকে যাওয়ায় আক্রান্ত হন তারা। তাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জাপানের পরমাণু সংস্থার কর্মকর্তা হিদেহিকো নিশিইয়ামা বলেন, আমাদের যতো দ্রুত সম্ভব মেরামতের কাজ শেষ করা উচিত, একইসঙ্গে সেখানে কর্মরতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ প্রকল্প থেকে তেজস্ক্রিয়া ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করা এবং এটি সচল করতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন ৩০০ প্রকৌশলী ও শ্রমিক। জাপানে এখন জাতীয় বীরের মর্যাদা পাচ্ছেন তারা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সবচেয়ে বড় পরমাণু বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে জাপান। আর ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পরমাণু দুর্ঘটনার পরে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা এটি।
১১ মার্চের দুর্যোগে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে তেজস্ক্রিয়া বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হলেও ফুকুশিমা প্রকল্পের দুইটি চুল্লী এখন নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে। বাকি চারটি চুল্লী থেকে এখনো মাঝেমধ্যে ধোঁয়া ও বাষ্প নির্গত হলেও এগুলোর জ্বালানি রডে পানি ঢেলে শীতল করার কাজ এগুচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শ্রমিকদের তেজস্ক্রিয়া থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারে আবারো প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/কিউএইচ/এলকিউ/১৬৫৩ ঘ.