নেপালে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৮,৫৮৩

দুটি বড় ভূমিকম্পে নেপালে নিহত মানুষের সংখ্যা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়ে গেছে; এতে এ দুটি ভূমিকম্প  দেশটির সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 18 May 2015, 11:11 AM
Updated : 18 May 2015, 11:11 AM

রোববারও দেশটির প্রত্যন্ত একটি গ্রামের নিখোঁজ বাসিন্দাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিলেন উদ্ধারকারীরা। নিখোঁজ এসব লোক নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২৫ এপ্রিল নেপালে সাত দশমিক আট মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। পর্বতময় দেশটির প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও হতাহতের ঘটনা ঘটলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেখানে জরুরি চিকিৎসা সেবা পৌঁছানো যাচ্ছে না। এতে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার রাজধানী কাঠামান্ডুর ৭৬ কিলোমিটার পূর্বে আরেকটি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। এতে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশটির পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়ে।

রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি ভূমিকম্পে নিহতের মোট সংখ্যা এখন আট হাজার ৫৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে দেশটিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতের ৮১ বছরের পুরনো একটি রেকর্ড ভেঙে গেছ।

এর আগে দেশটির সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা ছিল ১৯৩৪ সালের ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে আট হাজার ৫১৯ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া প্রতিবেশী ভারতে আরো কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন।   

দ্বিতীয় ভূমিকম্পে কাঠমান্ডুর পূর্ব দিকের দোলাখা জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এখানে কয়েক ডজন ভূমিধসের ঘটনায় জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।

দোলাখার জেলা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিধসে ধ্বংস হয়ে যাওয়া সিনগাতি গ্রামের বহু বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, পুরো গ্রামটি থেকে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে নিহতদের লাশ বের করতে হবে উদ্ধারকারীদের।

রোববার নেপালি প্রধানমন্ত্রী সুশিল কৈরালা জানিয়েছেন, দুটি ভূমিকম্পে ৫৮ জন বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আরো ১১২ জনের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।