ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, নৌকাটিকে সমুদ্রে ফেরত পাঠানোর আগে সোমবার তারা অভিবাসীদের খাবার ও পানি সরবরাহ করেছে।
অভিবাসীরা মালয়েশিয়ায় যেতে চেয়েছে বলেই নৌ-যানটিকে সমুদ্রে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানায় নৌবাহিনী।
“নৌকার যাত্রীরা বেঁচে আছে এবং বেশ সুস্থ আছে,” বলেন, নৌবাহিনীর মুখপাত্র মনহন সিমরাংকির।
তিনি বলেন, “তারা সাহায্য চেয়েছিল। তারা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে রাজি ছিল না। তারা মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিল। তাই আমরা খাবার, পানি ও ওষুধ সরবরাহ করে তাদের গন্তব্যের পথে পাঠিয়ে দিয়েছি।”
অভিবাসী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইওএম) এ ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়েছে। আইওএম’র মুখপাত্র জো লোরি বিবিসি’কে বলেন, “ঘটনা সত্য হলে তা হবে খুবই দুঃখজনক। ওই মানুষগুলোর স্থলে আশ্রয়ের প্রয়োজন ছিল।”
মার্চ থেকে ছোট ছোট জাহাজে করে এসব অসহায় মানুষ সমুদ্রে ভাসছে। খুব কম খাবার ও পানি খেয়ে তারা জীবন ধারণ করছে। এরই মধ্যে অনেকে বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের জরুরি সাহায্য প্রয়োজন ছিল বলেও মনে করেন তিনি।
“বেরিবেরি রোগ মানুষকে জীবন্ত কঙ্কালে পরিণত করে। তাদের জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন।”
জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সরকারের কাছে এসব শরণার্থী বোঝাই নৌকা সমুদ্রে ফেরত না পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
থাইল্যান্ডের জলসীমায় এখনো আরো ৮ হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে বলে সোমবার বিবিসি’কে জানিয়েছিল আইওএম।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই সব নৌযান ক্ষুধার্ত ও রুগ্ন শরণার্থী দিয়ে বোঝাই। থাইল্যান্ডে ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর মানবপাচারকারীরা অসহায় ওইসব মানুষকে ফেলে চলে গেছে।
এদিকে, রোববার রাত ও সোমবার থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় উদ্ধার হওয়া দুই হাজারের বেশি অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য দুই দেশের পুলিশ প্রধানদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।