ধূমকেতু ৬৭পি’তে 'জৈব অণু'

ধূমকেতু ৬৭পি/চুরিয়মোভ-গেরাসিমেঙ্কো’র বায়ুমণ্ডলে জৈব অণু সনাক্ত করেছে ধূমকেতুটিতে নামা ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইসা) যন্ত্রযান ফিলা।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2014, 03:59 AM
Updated : 19 Nov 2014, 09:31 AM

বিজ্ঞানীরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে বিবিসি।

কার্বনভিত্তিক জৈব পদার্থই পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছে। মহাশূন্য থেকে ধূমকেতু বাহিত হয়ে প্রাণের রাসায়নিক উপাদান পৃথিবীতে এসেছিল কিনা, ফিলার এই আবিষ্কার সেই রহস্যের জট খোলায় অবদান রাখতে পারে।

জার্মানির তৈরি কসাক নামের একটি যন্ত্র ধূমকেতুটির পাতলা বায়ুমণ্ডল থেকে ওই যৌগগুলো সংগ্রহ করেছে। এই যন্ত্রটির ‘বাতাস’ টেনে নেয়ার ক্ষমতা আছে।

কসাক যন্ত্রে পাওয়া উপাত্তের প্রধান বিশ্লেষক ড. ফ্রেড গোয়েসম্যান জৈবযৌগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে তাদের বিশ্লেষক দল এখনো এই প্রাপ্তির ফলাফল নির্ধারণের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে গোয়েসম্যান।

কি অণু পাওয়া গেছে বা তা কতোটা জটিল, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এসব প্রকাশ করা হয়নি।

কিন্তু পৃথিবীতে প্রাণের আবির্ভাবে ধূমকেতুর সম্ভাব্য ভূমিকার কার্যকর কিছু তথ্য ওই ফলাফল থেকে পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিশু পৃথিবীতে ধূমকেতু পতনের ফলে ধূমকেতু থেকে আসা জৈব অণু পৃথিবীতে প্রাণের প্রাথমিক উপাদান তৈরি করেছিল বলে বিজ্ঞানীদের মাঝে ধারণা প্রচলিত আছে।

প্রাপ্ত উপাত্তের অন্যান্য বিশ্লেষণ থেকে ধারণা পাওয়া গেছে, ধূমকেতুটির পৃষ্ঠের বেশিরভাগই পানির বরফ এবং তা ধুলার একটি পাতলা আবরণে ঢেকে আছে।

ফিলার অবতরণের পর ধূমকেতুটির পৃষ্ঠে মুপুস নামের একটি হাতুরি ধরনের যন্ত্র মোতায়েন করা হয়। এই যন্ত্রের তৎপরতা থেকে ধারণা পাওয়া গেছে, ধুমকেতুটির পৃষ্ঠ ১০-২০ সেমি’র একটি ধুলার স্তরে ঢেকে আছে, আর তার নিচে আছে পানি জমাট বেধে শক্ত হয়ে যাওয়া কঠিন বরফ।

এই বরফের স্তরটি বেলে পাথরের মতোই শক্ত বলে মুপুস থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে। বহির্সৌরজগত দিয়ে ধূমকেতুটি যাওয়ার সময়ও বরফের স্তরটি একইরকম শক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

১০ বছরের যাত্রা শেষে ১২ নভেম্বর ধূমকেতু ৬৭পি’র পৃষ্ঠে অবতরণ করে ফিলা।