সর্বজিতের মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যে অপরাধীরা তার ওপর বর্বরোচিত এবং খুনে আক্রমণ চালিয়েছে তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি বিষয় যে, এই বিষয়টিকে মানবিক বিবেচনায় নিতে ভারত সরকার, সর্বজিতের পরিবার এবং ভারত-পাকিস্তানের সুশীল সমাজের অনুরোধকে অগ্রাজ্য করেছে পাকিস্তান সরকার।’
মনমোহন আরো যোগ করেন, সরকার সর্বজিতের মরদেহ দেশে এনে যথাযথ মর্যাদায় শেষকৃত্যানুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে।
এরআগে শুক্রবার হামলার পর সর্বজিৎকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে বলে এক চিকিৎসক জানান।
লাহোরের কোট লাখপাত কারাগারের বন্দি সর্বজিতের ওপর দুই সহবন্দি হামলা চালায়।
১৯৯১ সালে পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হন ভারতীয় নাগরিক সর্বজিত। তার বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে গোয়েন্দাগিরি ও লাহোরে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
র্বজিৎ নির্দোষ, পরিবারের এমন দাবি সত্বেও বিচারে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের অনুরোধে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ সর্বজিতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত করেন।