সৌরজগত সৃষ্টির রহস্য সন্ধানে নাসা

সৌরজগৎ সৃষ্টির রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2011, 04:56 AM
Updated : 17 July 2011, 04:56 AM
হিউস্টন, জুলাই ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)---সৌরজগৎ সৃষ্টির রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
চারশ পঞ্চাশ কোটি বছর আগে কিভাবে তৈরি হয়েছিলো আমাদের এ সৌরজগত সে সম্পর্কে আরো নতুন নতুন তথ্য উদঘাটনে গ্রহাণুর চারপাশে ঘুরবে নাসার অনুসন্ধানী কৃত্রিম উপগ্রহ।
গ্রহাণুপুঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহাণু ভেস্তার কক্ষপথে নাসার রবোট চালিত বিজ্ঞান-অনুসন্ধানী কৃত্রিম উপগ্রহ ডন এর কাজ শুরু হওয়ার কথা শনিবার থেকেই।
আলু আকৃতির গ্রহাণু ভেস্তাকে কেন্দ্র করে বছরব্যাপী চলবে এ অভিযান।
ভেস্তা অভিযান শেষে ডন অভিযান শুরু করবে বৃহত্তম গ্রহাণু সেরেস এ। সেরেস অভিযানের সময়কাল হবে ছয় মাস। ২০১২ সালের জুলাই মাসে সেরেসের দিকে রওনা হবে ডন।
ভেস্তা ও সেরেস, গ্রহাণুপুঞ্জের সবচেয়ে বড় সদস্য। ভেস্তার চারপাশে প্রদক্ষিণ করবে নাসার পাঠানো উপগ্রহ 'ডন'।
রোববার পৃথিবী থেকে ১১ কোটি ৭০ লক্ষ মাইল দূরে অবস্থানরত ডন থেকে পাঠানো সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছে নাসার বিজ্ঞানীরা।
এ সংকেত থেকেই পরিষ্কার হবে ডন কাঙ্খিত জায়গায় আছে কিনা, অর্থাৎ পরিকল্পনা সফল হলো কিনা।
সৌরজগৎ নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য ২০০৭ সালে গন্তব্যে যাত্রা শুরু করে ডন।
সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ মঙ্গলের পরেই গ্রহাণুপুঞ্জের অবস্থান। গ্রহাণুপুঞ্জের পর সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির অবস্থান।
গ্রহাণুপুঞ্জের সদস্যরা গ্রহের মতো পদার্থেই তৈরি, তবে কিছুটা ছোট আর গ্রহের মতো গোল নয়, কিছুটা অনিয়মিত গড়নের।
গ্রহাণুপুঞ্জ পর্যন্ত সৌরজগতকে আন্তর্সৌরজগত বলে। আর বৃহস্পতি থেকে শুরু বহির্সৌরজগত।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, অতি বৃহৎ কোন গ্রহ বিধ্বস্ত হয়েই গঠিত হয়েছে গ্রহাণুপুঞ্জ।
ডন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক রবার্ট মেস জানান, "আমাদের আন্তর্সৌরজগতের এ দুটি জগতে এখন পর্যন্ত কোন অভিযান চালানো হয়নি"।
ভেস্তার কেন্দ্রটি লোহার আর এতে সম্ভবত আগ্নেয়গিরি আছে, সে কারণে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটিকে অনেকটা পৃথিবীর মতো বলে ধারণা করেন।
অন্যদিকে, সেরেসের বায়ুমন্ডল দুর্বল, আর এতে পানি ধরে রাখার মতো খনিজ পদার্থ আছে।
ভেস্তা ও সেরেসের গঠন উপাদান নিয়ে পরীক্ষা করবে ডনে স্থাপিত তিনটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র। সেখানে পাওয়া রাসায়নিক উপাদানগুলো সনাক্ত করার চেষ্টা করবে এটি।
এর মাধ্যমে শুরুর দিকের সৌরজগতের তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকদলের প্রধান লস এঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার রাসেল বলেন, "আমরা ফেলে আসা সময়ে যতটা পারছি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছি"।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এবি/এলকিউ/১৫৪৫ ঘ.