এনডিভি জানায়, রোগের উপসর্গ দেখে তার নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের গবেষণাগারে। সেখানেই পরীক্ষায় সোমবার তার মাঙ্কিপক্স ‘পজিটিভ’ পাওয়া গেছে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, কান্নুরের পরিয়ারম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ওই রোগীকে। তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
তিনি যাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষেপও নিচ্ছে কেরালা প্রশাসন। ১৪ জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৪ জুলাই ভারতের এই কেরালা রাজ্যেই প্রথম মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত একজনের সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি ১২ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কেরালায় ফিরেছিলেন।
দেশে প্রথম মাঙ্কিপক্স রোগী পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার কেরালায় উচ্চপর্যায়ের একটি দল পাঠিয়েছিল। একই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে বিভিন্ন রাজ্যকে পূর্বসতর্কতাও অবলম্বন করতে বলা হয়।
ইউরোপ এবং আমেরিকায় সম্প্রতি মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আফ্রিকার বাইরে এর বিস্তার খুব বিরল হলেও ইদানিং বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে মাক্সিপক্স ছড়ানোর কারণে এ রোগ কোভিডের মধ্যে আরেক মহামারী হয়ে দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা বাড়ছে।
ভারতে মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে গত মে মাসেই সতর্কতা হিসেবে কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। সাধারণ ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এ ভাইরাস ছড়ায়। ফলে আইসোলেশন ও পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে সহজেই এর বিস্তার ঠেকানো সম্ভব, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।