বেলুচিস্তনে পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে আর আকস্মিক বন্যায় ভেসে যাওয়া এলাকাগুলো দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে হওয়ায় উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছে ডন।
বেলুচিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হওয়ায় গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রদেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। কিলা সাইফুল্লাহ জেলার সহকারী কমিশনার লিয়াকত কাকার জানান, খুসনবের পর্বতগুলোর কাছে হড়কা বানে চার নারী ও এক বালক ভেসে গেছে।
কিলা সাইফুল্লাহর ৯০ শতাংশ মাটির বাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বহু পরিবার ঘরহারা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারি বৃষ্টি ও হড়কা বানে বেলুচিস্তানে প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটার পর কিলা-সাইফুল্লাহ জেলাই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান কমিশনার কাকার।
আইএসপিআরের কর্মকর্তারা জানান, একটি উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
বেলুচিস্তানের আরেক জেলা লোরালাইয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার পানির তোড়ে পাঁচ জন ভেসে গেছেন, পরে তাদের মধ্যে দুই জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি তিন জনের খোঁজে একটি তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে।
বন্যায় লোরালাইয়ের শের জান বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জেলার ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন।
জোব জেলার ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, বন্যাজনিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কিছু বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া নোশকিতে দুটি শিশু বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় গিলগিত-বালতিস্তান প্রশাসনিক অঞ্চলের ঘিজের জেলার এক গ্রামে হড়কা বানে ভেসে গিয়ে দুই নারী ও একটি শিশুসহ অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তীব্র দাবদাহে হিমবাহ গলে গিলগিত-বালতিস্তানের আকস্মিক এ বন্যার সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আরও তিন শিশু আহত হওয়ার পাশাপাশি আরও তিন জন নিখোঁজ হয়েছে।
আরও পড়ুন