উত্তর কোরিয়ার ‘ছাড়া বাঁধের পানির’ কারণে বিপত্তি দক্ষিণে

ইমজিন নদীর পানি হুট করে বেড়ে যাওয়ায় তীরে বেড়াতে আসা লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2022, 07:55 AM
Updated : 5 July 2022, 10:12 AM

উত্তর কোরিয়া তাদের সীমান্তবর্তী একটি বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে নদীটির পানির উচ্চতা হঠাৎ করে বেড়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার দক্ষিণের কর্মকর্তারা তাদের এ সন্দেহের কথা জানান বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সাবধানতার অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ পরে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বার্তাও পাঠায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি তথ্যে দেখা গেছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকালে দক্ষিণের সীমান্তবর্তী ইয়নচেয়ন কাউন্টিতে ইমজিন নদীর একটি সেতু এলাকায় পানি হঠাৎ করে ১ মিটার বেড়ে যায়, এতে ছুটি কাটাতে আসা নদী তীরবর্তী লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়।

“উত্তর কোরিয়া সম্ভবত তাদের হোয়াংগাং বাঁধের পানি ছেড়ে দিয়েছে,” রয়টার্সকে বলেন দুই কোরিয়ার সম্পর্কের দেখভালের দায়িত্বে থাকা দক্ষিণের পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।

পরে ইয়নচেয়ন কাউন্টি জানায়, তারা নদীতীরের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদেরকে সাবধানবার্তা পাঠিয়েছে এবং নিরাপদ এলাকায় সরে যেতে সতর্কতা জারি করেছে।

তবে নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে কত লোককে সরে যেতে হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

“নদীর পানি ১ দশমিক ৬ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর এখন একটু একটু করে নামছে,” পরে জানান ইয়নচেয়ন কাউন্টির এক কর্মকর্তা।

সম্প্রতি হওয়া তুমুল বৃষ্টির পর বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রচেষ্টা জোরদার করেছে উত্তর কোরিয়া।

ইমজিন নদী ইয়নচেয়নের মধ্য দিয়ে যাওয়ায় হোয়াংগাং বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ার আগে উত্তর কোরিয়া যেন দক্ষিণ কোরিয়াকে জানায় সেজন্য বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে কখনোই সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ সিউলের।

২০০৯ সালে একইভাবে পানি ছেড়ে দেওয়ার পর দেখা দেওয়া বন্যা দক্ষিণ কোরিয়ার ৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।