ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে তাদের ভাষায় ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর সময় রাশিয়া যে ক’টি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, দনবাসকে ইউক্রেইনীয় বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করা ছিল তার অন্যতম।
লুহানস্ক আর এর পার্শ্ববর্তী দোনেৎস্ক অঞ্চল নিয়েই শিল্পসমৃদ্ধ দনবাস; যে কারণে লুহানস্কের পুর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ পাওয়াকে মস্কোর বড় ধরনের বিজয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস লুহানস্কে মস্কোর বিজয়কে ‘পৃথিবী ও মহাকাশ উভয় জায়গাতে উদ্যাপনের মতো মুক্তির দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সংস্থাটি এ উপলক্ষে বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে যেখানে হাস্যোজ্জ্বল তিন মহাকাশচারী ওলেগ আরতেমেয়েভ, ডেনিস মাতভিভ ও সের্গেই কোর্সাকভকে রাশিয়ার স্বীকৃতি পাওয়া দুই প্রজাতন্ত্র লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক ও দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের পতাকা ধরে রাখতে দেখা যাচ্ছে।
“লুহানস্ক অঞ্চলের দখলে থাকা অংশের বাসিন্দাদের জন্য এটি সেই দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত দিন, যার জন্য তারা ৮ বছর ধরে অপেক্ষা করেছে। আমরা নিশ্চিত যে ৩ জুলাই, ২০২২ গণপ্রজাতন্ত্রী লুহানস্কের ইতিহাসে চিরকাল থাকবে,” মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছে রসকসমস।
লিসিচ্যাংস্ক দখলে আসার পর রোববার রাশিয়া লুহানস্কের সব অংশ তাদের ও মিত্র লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক বাহিনীর কব্জায় এসেছে বলে ঘোষণা করে।
দখল হওয়া সব ভূমি পুনরুদ্ধারের আশ্বাস দেওয়া ইউক্রেইন বলেছে, সেনাদের জীবন বাঁচাতেই লুহানস্কের শেষ ঘাঁটি লিসিচ্যাংস্ক থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হয়েছে তাদের।
কিইভ বলছে, তাদের সেনারা পুনরায় সংঘটিত হয়ে, দূরপাল্লার পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের সাহায্যে দখল হারানো ভূমিগুলোতে পাল্টা আক্রমণ শানাবে।