শুক্রবার পেন্টাগন থেকে ইউক্রেইনে নতুন এই অস্ত্রের চালান পাঠানোর ঘোষণা দেয়া হয়। যার আর্থিক মূল্য ৮২ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
ইউক্রেইনকে এই সহায়তার বিষয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘‘ইউক্রেইনীয়রা এই সপ্তাহে আবারও একটি নৃশংস হামলার শিকার হয়েছে। লোকজনে ভরা একটি শপিংমলে ওই হামলা চালিনো হয়েছে। তারা তাদের দেশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের এই ন্যায়সঙ্গত লড়াইয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।”
ইউক্রেইনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার একটি বোমারু বিমান থেকে ছোড়া একটি কেএইচ-২২ ক্ষেপণাস্ত্র গত সোমবার দেশটির মধ্যাঞ্চলের শহর ক্রেমেনচুকের একটি জনাকীর্ণ শপিংমলে আঘাত হানে। নিহত হয় কমপক্ষে ১৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তা স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধে ইউক্রেইনের শক্তি বাড়াবে। রুশ বাহিনী ইউক্রেইনে আগ্রাসনের সময় সেখানে ব্যাপকহারে কামানের গোলা বর্ষণ করে। ইউক্রেইনের বিভিন্ন শহরে তারা এখন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে।
তারা পূর্বে যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে। প্রবল আক্রমণের মাধ্যমে কিইভের দুটি প্রদেশকে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য করছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। যার মধ্যে দিয়ে ইউরোপে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ ফেরত এসেছে। যে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পুরো বিশ্বের উপর পড়েছে।