রেওয়াজ মেনে কুমিরকে বিয়ে করলেন মেক্সিকোর এক মেয়র

সঙ্গীত আর নাচের তালে হুল্লোরে মেতে আছেন সবাই। বর্ণাঢ্য এমন আয়োজনের মাঝেই এক কুমির কন্যার পাণিপ্রার্থী হয়ে পরিণয় সেরেছেন মেক্সিকোর ছোট্ট একটি শহরের মেয়র।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2022, 03:01 PM
Updated : 3 July 2022, 05:15 AM

বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে কুমিরটির নাকের ডগায় এসময় একাধিকবার চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন মেয়র ভিক্টর হুগো সোসা। আনুষ্ঠানিকতা সারতে কনের পোশাক পড়ানো কুমিরটির মুখ অবশ্য বাঁধাই ছিল।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ওক্সাকা উপকূলে স্যান পেড্রো হুয়ামেলুলা নামে জেলেদের ছোট্ট একটি গ্রামে বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী এ বিয়ের।

অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র হলেও আদিবাসী সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ মেক্সিকোর দক্ষিণের রাজ্য ওক্সাকায় অনেকগুলো জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। অত্যন্ত কঠোরভাবে যারা নিজেদের ভাষা এবং ঐতিহ্য রক্ষা করে আসছে।

ছোট্ট রাজকুমারীর মর্যাদা দেওয়া সাত বছর বয়সী এ প্রাণিটিকে ধরিত্রী মাতার অবতার হিসেবে বিবেচনা করছেন স্থানীয়রা। আর তাদের প্রধানের সঙ্গে এ বিয়েকে মনে করছেন মানুষের সঙ্গে স্বর্গীয় সংযোগ। 

এ বিষয়ে মেয়র সোসা বলেন, “নদীতে যাতে অনেক মাছ পাওয়া যায়, সেজন্য প্রকৃতির কাছে আমরা অনেক বৃষ্টি আর খাবার প্রার্থনা করেছি।”

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামটিতে দীর্ঘ পুরনো রীতির সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে ক্যাথলিক আধ্যাত্মিকতা। এসবের মিশেলে ছোট্ট ওই সরিসৃপ প্রাণিটিকে বিয়ের সাদা পোশাকের সঙ্গে দেওয়া হয় বর্ণিল পোশাকের সাজ।    

ট্রাম্পেট আর ড্রামের বাদ্যের উৎসবমুখর তালের সঙ্গে স্থানীয় জনতা কুমির কন্যাটিকে নিয়ে গ্রামের রাস্তায় ঘুরতে গেলে পুরুষরা তাদের মাথার হ্যাট খুলে বাতাস করতে থাকেন।

এ বিয়ের আয়োজক ধর্মমাতা হিসিবে পরিচিত এলিয়া এডিথ আগুইলার বলেন, “এটি আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে এবং আমার শেকড় সম্পর্কে আমাকে গর্বিত করে তুলেছে”

অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কনে কী পোশাক পড়বে সে বিষয়েও তাকে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয়েছে।

‍“এটি খুবই চমৎকার একটি প্রথা,”- হাসিমুখে যোগ করেন তিনি।