ইউক্রেইন স্নেক আইল্যান্ডের দখল ফিরে পাওয়ার পর ওদেসায় নিহত ১৭

ইউক্রেইন কৃষ্ণ সাগরের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডের দখল ফিরে পাওয়ার একদিন পর দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর ওদেসায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2022, 05:19 AM
Updated : 1 July 2022, 05:34 AM

প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলোতে একটি আবাসিক ভবনে শুক্রবার ভোররাতের এ হামলায় তিন শিশুসহ ছয় জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।

পরে ওদেসা আঞ্চলিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাৎচুক তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, “একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে হামলার ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।”

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা এ ঘটনার বিস্তারিত স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।

ছবি: রয়টার্স

জাতিসংঘের উদ্যোগে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেইনের খাদ্যশস্য বের করার মানবিক করিডোরের জন্য ‘শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে’ তারা স্নেক আইল্যান্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাশিয়া এমনটি জানানোর পরদিন ওদেসায় এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। 

ইউক্রেইনের দাবি, তারা গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে রুশ বাহিনীকে স্নেক আইল্যান্ড থেকে বিতাড়িত করেছে। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘কৌশলগত এ জয়কে’ স্বাগত জানিয়েছেন।

রাত্রিকালীন এক ভিডিও ভাষণে তিনি বলেছেন, “এটি এখনও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়নি। শত্রুরা আবার ফিরে আসবে না তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। তবে এটি দখলদারদের তৎপরতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে সীমাবদ্ধ করবে। ধাপে ধাপে আমরা তাদের আমাদের সাগর, ভূমি ও আকাশ থেকে হটিয়ে দেবো।”

এদিকে লুহানস্কের পূর্ণাঙ্গ দখল নেওয়ার পর্যায়ে থাকা রুশ বাহিনী সেখানকার শেষ বাধা লিসিচ্যাংস্কের ওপর অবিরাম গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে, তারপরও শহরটিতে থাকা ইউক্রেইনীয় বাহিনীগুলো নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  

কৃষ্ণ সাগরের স্নেক আইল্যান্ড। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেইনের টেলিভিশনে আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি হাইদাই জানিয়েছেন, রাশিয়ার গোলন্দাজ বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে গোলাবর্ষণ করে চলছে আর তাদের সেনাবাহিনী বেশ কয়েকটি পাশ দিয়ে এগিয়ে আসছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র লড়াইয়ের পর রাশিয়ার বাহিনীগুলো গত সপ্তাহে সিভারস্কি দোনেছ নদীর অপর তীরের শহর সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক দখল করে নেয়, তারপর থেকে লিসিচ্যাংস্ককে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে তারা।

রাশিয়া ইউক্রেইনে তাদের ভাষায় ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ যে ক’টি লক্ষ্য ঠিক করেছিল, তার একটি হচ্ছে দনবাসের ওপর মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। লুহানস্ক আর এর প্রতিবেশী দোনেৎস্ক প্রদেশ মিলিতভাবে দনবাস নামে পরিচিত। লিসিচ্যাংস্কের পতন হলে পুরো লুহানস্কের ওপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে।