বৃহস্পতিবার তুর্কেমেনিস্তান সফরকালে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন সাবেক নারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।
জনসনের নারীবাদী তত্ত্ব খন্ডন করে পুতিন বলেন, তিনি (মার্গারেট থ্যাচার) একজন নারী হয়েও সামরিক অভিযান চালানোর জন্য ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে সেনা পাঠিয়েছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম জেডডিএফ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জনসন ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে ‘বিষাক্ত পৌরুষত্বের’ এক নিখুঁত উদাহরণ’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছিলেন, “পুতিন যদি নারী হতেন, তাহলে আমি সত্যিই মনে করি না যে, তিনি এভাবে উন্মত্ত-পৌরুষপূর্ণ একটি আগ্রাসী যুদ্ধ ও সহিংসতায় ঝাঁপিয়ে পড়তেন।”
এরই প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদেরকে পুতিন বলেন, “আমি সাম্প্রতিক সময়ের ইতিহাস স্মরণ করতে চাই, যখন মার্গারেট থ্যাচার ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের জন্য আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।"
“সুতরাং, একজন নারীই সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অতএব, আজ যা ঘটছে তা নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন, তা পুরোপরি ঠিক নয়,” বলেন পুতিন।
ফকল্যান্ড যুদ্ধ নিয়ে কড়া সমালোচনাও করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, কোথায় ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ আর কোথায় ব্রিটেন? মার্গারেট থ্যাচার তার সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্খা এবং সাম্রাজ্যবাদ ধরে রাখার অভিপ্রায়েই ওই অভিযান চালিয়েছিলেন।
তাছাড়া, রাশিয়া বরাবরই আফগানিস্তান, যুগোস্লাভিয়া এবং ইরাকের মতো দেশে পশ্চিমা সামরিক হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে আসছে। তাদের কথায়, এইসব দেশে সামরিক অভিযান পশ্চিমাদের সাম্রাজ্যবাদ এবং ভন্ডামিরই উদাহরণ।