বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জার্মানির ভেল্ট পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খার বলেন, অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে আফগানিস্তানকে পতনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
“যদি দেশটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে এবং দেশটির সম্পদ জব্দ করেই রাখা হয় তাহলে সেরকমটিই ঘটবে। আমরা দুর্ভিক্ষ ডেকে আনতে পারি না,”বলেন তিনি।
রয়টার্স জানায়, গতবছর তালেবান দেশটির ক্ষমতা নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিদেশি সরকারগুলো উন্নয়ন ও নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, এতে দেশটির ব্যাংকিং খাত দুর্বল হয়ে পড়ে।
হিনা রাব্বানি আরও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে পশ্চিমা সেনা প্রত্যাহার না হওয়ায় আফগানিস্তানে এর গুরুতর প্রভাব পড়েছে।
ওই সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ায় জার্মানিও ছিল উল্লেখ করে নিষেধাজ্ঞা শিথিলে দেশটিকে সক্রিয় রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানকে অনাহারে রেখে দেশটিতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি করা কোনো ভালো ধারণা নয়।”
আফগানিস্তানের জনগণকে সাহায্য করতে অর্থনৈতিক সমর্থন দেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“যুদ্ধে আমরা তিন লাখ কোটি ডলার খরচ করেছি, অথচ আফগানিস্তানকে বাঁচাতে ১০ বিলিয়ন ডলারও নেই। এই আচরণ আমি বুঝতে পারছি না,” বলেন তিনি।