এ সপ্তাহে মধ্য এশিয়ার দুটি সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র সফর করবেন তিনি। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রোববার এ খবর জানিয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে শুরু হওয়া রুশ হামলায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত হওয়া ছাড়াও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ। মস্কোর ওপর আরোপ হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা।
চীন, ভারত ও ইরানের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কারণে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করছেন পুতিন।
রোশিয়া ওয়ান রাষ্ট্রীয় টিভি স্টেশনের খবরে ক্রেমলিনের সংবাদদাতা বলেছেন, পুতিন তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান সফর করবেন। এরপর মস্কোয় ফিরে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তাজিকিস্তান সফরকালে রাজধানী দুশানবে তে তাজিক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাখমনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পুতিনের।
সাবেক এই সোভিয়েত রাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন রাখমন। তিনি রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত।
তুর্কেমেনিস্তান সফরকালে পুতিন রাজধানী আশগাবাতে কাস্পিয়ান দেশগুলোর একটি সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে থাকবেন আজারবাইজান, কাজাখস্তান, ইরান ও তুর্কমেনিস্তানের নেতারাও।
পুতিন সর্বশেষ বিদেশ সফর করেছিলেন ফেব্রুয়ারির শুরুতে। সে সময় তিনি চীনের রাজধানী বেইজিং সফর করেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ‘অসীম বন্ধুত্বের’ ঘোষণা দিয়ে একটি চুক্তি করেছিলেন দুই নেতা।
রাশিয়া বলে আসছে, ইউক্রেইনে তাদের অভিযানের কারণ হল, দেশটিকে সামরিকভাবে নিরস্ত্র করা। রাশিয়াকে হুমকি দিতে পশ্চিমারা যাতে ইউক্রেইনকে ব্যবহার করতে না পারে।
তাছাড়া, ইউক্রেইনে জাতীয়তাবাদীদের উৎখাত এবং দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশভাষীদের রক্ষা করাও অভিযানের লক্ষ্য বলে জানায় রাশিয়া। ইউক্রেইন এই আগ্রাসনকে সাম্রাজ্যবাদী ধাঁচে ভূমি দখল আখ্যা দিয়েছে।