মার্চ ও মে-তে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ঢেউ ছড়িয়ে পড়া থামাতে চীনের যেসব এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তার মধ্যে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরও ছিল; এরমধ্যে সাংহাই টানা দুই মাস ধরে শহরজুড়ে লকডাউন আরোপ করে রেখেছিল যা ১ জুন তুলে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের জিরো-কোভিড নীতির অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এই নীতির লক্ষ্য সব প্রাদুর্ভাব নির্মূল করা। এতে সংক্রমণ সংখ্যা কমিয়ে আনা গেলেও কঠোর অনেকগুলো বিধিনিষেধ অনেককে ক্ষুব্ধ করে তোলে, কিছু বিরল প্রতিবাদের ঘটনাও ঘটে এবং অর্থনীতির বড় ধরনের ক্ষতি হয়।
স্থানীয়ভাবে কোভিড সংক্রমণ ছড়ানোর পর মে-র প্রথমদিকে স্কুল বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করার নির্দেশ দিয়েছিল বেইজিং। এরপর ২ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্বশরীরে ক্লাসে ফেরার অনুমোদন দেয়।
সম্প্রতি সংক্রমণের ধারা কমতে শুরু করার পর শনিবার রাজধানীটির শিক্ষা কমিশন বলেছে, সোমবার থেকে রাজধানীর সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে পারবে। ৪ জুলাই থেকে কিন্ডারগার্টেনগুলো খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।
পৃথকভাবে বেইজিং মিউনিসিপাল ব্যুরো অব স্পোর্টস বলেছে, টানা সাত দিন ধরে যেসব এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের কোনো ঘটনা ঘটেনি সেখানে ২৭ জুন থেকে স্কুল বাদ অন্যান্য স্থানগুলোতে তরুণরা খেলাধুলা শুরু করতে পারবে, তবে বেইসমেন্ট ভেনুগুলো বন্ধই থাকবে।
প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার ইউনিভার্সাল বেইজিং রিজোর্ট ফের খুলেছে।
২৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে প্রথমবারের মতো ২৪ জুন, শুক্রবার সাংহাইয়ে স্থানীয়ভাবে উপসর্গসহ ও উপসর্গবিহীন নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
সাংহাইয়ের কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান লি ছ্যাং শনিবার নগরীর পার্টি কংগ্রেসের উদ্বোধনের সময় জানিয়েছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নির্দেশনাবলী বাস্তবায়ন মাধ্যমে কোভিডকে প্রতিরোধ করার ‘যুদ্ধে জয়ী হয়েছে সাংহাই’র কর্তৃপক্ষ এবং বেইজিংয়ের মহামারী প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সঠিক ছিল।
তবে সাংহাই এখনও পুরোপুরি ঝুঁকি মুক্ত হয়নি। নগরীটির অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে ক্লাসে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় নাই এবং ঘরে লোক জমায়েত করে খাওয়া এখনও নিষিদ্ধ। জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত নগরীর আড়াই কোটি বাসিন্দার জন্য প্রতি সপ্তাহান্তে গণ পিসিআর পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ।