কালিনিনগ্রাদে ট্রানজিটে বিধিনিষেধ, যুক্তরাষ্ট্রকে দুষল রাশিয়া

রাশিয়ার মূলভূখণ্ড থেকে কালিনিনগ্রাদ ছিটমহলে কিছু পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে লিথুয়ানিয়ার দেওয়া বিধিনিষেধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায় দিয়েছে মস্কো।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2022, 12:51 PM
Updated : 24 June 2022, 01:16 PM

বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত রুশ ছিটমহল কালিনিনগ্রাদে স্থলপথে যেতে পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার উপর দিয়ে যেতে হয়। রাশিয়া সাধারণত লিথুয়ানিয়া দিয়েই কালিনিনগ্রাদে পণ্য পাঠায়।  

নেটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য এ দেশটি শনিবার থেকে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া রুশ পণ্যের পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা শুরু করেছে।

এ নিয়েই মস্কো ও ভিনিয়ুসের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইউক্রেইন যুদ্ধ ঘিরে পশ্চিমা জোট নেটোর সঙ্গে রাশিয়ার বাধাবাধি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। রাশিয়া তাদের ছিটমহলে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে লিথুয়ানিয়ার বিধিনিষেধকে ‘অবরোধ’ বলে গণ্য করছে এবং এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

নেটো সদস্য হওয়ায় মস্কো লিথুয়ানিয়ায় হামলা চালালে সমগ্র নেটোকেই ভিনিয়ুসের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে; সেক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে নেটোর সরাসরি যুদ্ধ বেধে যাবে।

অনেক বিশ্লেষক, লিথুয়ানিয়ার এ বিধিনিষেধকে নেটোর উসকানি হিসেবেই দেখছেন। 

এর মধ্যেই শুক্রবার মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ভূখণ্ড দিয়ে রুশ পণ্য পরিবহনে লিথুয়ানিয়ার নিষেধাজ্ঞার জন্য ওয়াশিংটনকে দোষারোপ করেছেন।  

“তথাকথিত ‘সম্মিলিত পশ্চিম’, হোয়াইট হাউসের বিস্তৃত নির্দেশনায়, রেলপথে কালিনিনগ্রাদে বিস্তৃত আওতার মধ্যে পড়া অনেক পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে,” শুক্রবার প্রকাশিত বিবৃতিতে এমনটাই বলেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে রাশিয়ার প্রতি একের পর এক যেসব বৈরি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, এটা তারই অংশ, বলেছে তারা।

লিথুয়ানিয়ার এ বিধিনিষেধের পাল্টায় রাশিয়া একটি আঞ্চলিক বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে লিথুয়ানিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে; মস্কোর এ পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছে ভিনিয়ুস।

রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, লিথুয়ানিয়ার বিধিনিষেধে কালিনিনগ্রাদগামী ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পণ্য আটকে যেতে পারে; তবে সেসব পণ্য তারা বাল্টিক সমুদ্র দিয়েও ছিটমহলটিতে পাঠাতে পারবেন।

লিথুয়ানিয়ার প্রধামন্ত্রী ইনগ্রিদা সিমোনিতে বুধবার বলেছেন, তাদের পদক্ষেপকে মস্কো যে ‘অবরোধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে, তা মোটেও ঠিক নয়।

যাত্রী পরিবহনে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হচ্ছে না, আর যেসব পণ্য নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে তা কালিনিনগ্রামে রাশিয়ার পাঠানো মালামালের মাত্র ১ শতাংশ, বলেছেন তিনি।