বুধবার গভীর রাতের এ ভূমিকম্প ভারত ও পাকিস্তানের অনেক এলাকাকেই নাড়িয়ে দিয়েছে; ধ্বংস করেছে অসংখ্য বাড়িঘর।
এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকেই মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির দুর্গম অনেক এলাকা থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনও পাওয়া না যাওয়ায় হতাহতের এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, এর মধ্যে বেশিরভাগই হয়েছে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পাহাড়ি হিন্দু কুশ অঞ্চলে।
অনেক ভূমিকম্প দুর্গম এলাকায় হওয়ায় এবং কয়েক দশকের যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন অবকাঠামোর বেহাল দশার কারণে দেশটিতে মাঝারি অনেক ভূমিকম্পেও তুলনামূলক বেশি মৃত্যু দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টারস ফর এনভায়রনমেন্টাল ইনফরমেশনের তথ্য অনুযায়ী গত তিন দশকে আফগানিস্তানে যেসব ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল-
১৯৯১, হিন্দু কুশ
হিন্দু কুশে সেবারের ভূমিকম্প আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়ন মিলিয়ে ৮৪৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।
১৯৯৭, কেয়েন
আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তে ৭ দশমিক ২ মাত্রার এ ভূমিকম্পে উভয় দেশের দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়; পুরোপুরি ধ্বংস হয় ১০ হাজারের বেশি বাড়ি।
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮, তেখার
উত্তরপূ্র্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত প্রদেশ তেখারে ওই ভূমিকম্পে অন্তত ২ হাজার ৩০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল; কোনো কোনো হিসাবে এই সংখ্যা ৪ হাজার বলেও উল্লেখ করা হয়।
মে ১৯৯৮, তেখার
তিন মাস পর একই অঞ্চলে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পে প্রাণ যায় ৪ হাজার ৭০০ জনের।
২০০২, হিন্দু কুশে জোড়া ভূমিকম্প
হিন্দু কুশে ২০০২ সালের মার্চে জোড়া ভূমিকম্পে মোট এক হাজার ১০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
২০১৫, হিন্দু কুশ
আফগানিস্তানের লিপিবদ্ধ ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী, ৭ দশমিক ৫ মাত্রার এ ভূমিকম্পে আফগানিস্তান এবং প্রতিবেশী পাকিস্তান ও ভারতে সব মিলিয়ে ৩৯৯ জনের প্রাণ যায়।