মঙ্গলবার ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ এ খবর নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেইনের অস্ত্রের মজুদ এমনিতেই কম; রুশ সেনাদের মোকাবেলা করতে গিয়ে দেশটির সোভিয়েত আমলের অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা গোলাবারুদে টানও পড়েছে, এজন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে আরও অত্যাধুনিক কামান চাইছে তারা।
“আমাদের গুদাম ফের পূরণ হচ্ছে। ইউক্রেইনের কামান পরিবারে জার্মান পানসাহাউবিৎসা ২০০০, সঙ্গে প্রশিক্ষিত ইউক্রেইনীয় ক্রু যুক্ত হয়েছে,” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনটাই বলেছেন রেজনিকভ।
পানসাহাউবিৎসা ২০০০ জার্মানির ভাণ্ডারে থাকা শক্তিশালী কামানের মধ্যে অন্যতম; এটি ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে।
চলতি বছরের মে-তে জার্মানি ইউক্রেইনকে ৭টি স্ব-চালিত হাউইৎজার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নেদারল্যান্ডসও কিইভকে এই ধরনের ৫টি কামান পাঠানোর অঙ্গীকার করেছে।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা আন্দ্রি ইয়েরমাক এক পোস্টে জার্মানির প্রতিশ্রুতি দেওয়া অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্রের কথাও উল্লেখ করেছেন। সেসব অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৩০টি গিপাদ ট্যাংক, তিনটি এমএআরএস টু মাল্টিপল রকেট লঞ্চার এবং কাঁধে রেখে ছোড়া যায় এমন ৫০০টি স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র।
কিইভ এর আগে রুশ সেনাদের আক্রমণ প্রতিহতে মিত্রদের কাছে এক হাজারটি হাউইৎজার, ৫০০ ট্যাংক ও এক হাজার ড্রোনসহ অত্যাধুনিক ভারি অস্ত্রশস্ত্র চেয়েছিল।
প্রতিবেশী দেশটিকে ‘নিরস্ত্র’ ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করার লক্ষ্যে রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাদের ভাষায় ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ নামে। এরই মধ্যে তারা ইউক্রেইনের ২০ শতাংশের মতো এলাকা দখলে নিয়ে নিয়েছে।
রুশ আক্রমণ ঠেকাতে অন্য যেসব দেশ ইউক্রেইনকে স্বচালিত হাউৎজার দিচ্ছে তার মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নরওয়ে ও পোল্যান্ড।