রেল ট্রানজিট অবরোধ, লিথুয়ানিয়াকে ‘মারাত্মক পরিণতির’ হুমকি রাশিয়ার

রুশ ছিটমহল কালিনিনগ্রাদে পণ্য পরিবহন হতে না দেওয়ার জন্য লিথুয়ানিয়া একটি রেল ট্রানজিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর একারণে লিথুয়ানিয়াকে ‘মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে’ হবে বলে শাসিয়েছে রাশিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2022, 02:50 PM
Updated : 21 June 2022, 02:50 PM

ঊর্ধ্বতন রুশ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিকোলাই পাত্রুশেভ মঙ্গলবার বলেছেন, “রাশিয়া নিশ্চিতভাবেই এমন বৈরি কর্মকাণ্ডের জবাব দেবে।”

তবে রেল ট্রানজিট অবরোধের ব্যাপারে লিথুয়ানিয়া বলছে, তারা কেবল ইউক্রেইনে আগ্রাসনের জেরে রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আরোপিত নিষেধাজ্ঞাই মেনে চলছে মাত্র।

কিলিনিনগ্রাদ একটি কৌশলগত অঞ্চল। এখানে রাশিয়ার বাল্টিক ফ্লিট এর সদরদপ্তর আছে। রাশিয়ার মূল ভূখন্ডের সঙ্গে এর কোনও সীমান্ত নেই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির কাছ থেকে রাশিয়া এ অঞ্চলটি দখল করে নেয়। ইইউ ও নেটো সদস্যদেশ লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডের সঙ্গে এই অঞ্চলের সীমান্ত আছে। কিলিনিনগ্রাদে মূলত লিথুয়ানিয়া হয়েই রেল ট্রানজিট দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া হয়।

গত সপ্তাহে লিথুয়ানিয়া কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় বলেছিল, তারা ইইউ নিষেধাজ্ঞা কবলিত পণ্য তাদের ভূখণ্ড দিয়ে কিলিনিনগ্রাদে যেতে দেবে না।

লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “লিথুয়ানিয়া নিজে কিছু করছে না। গত ১৭ জুন থেকে কার্যকর হওয়া ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার আওতায় এটি করা হচ্ছে… ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে এবং ইউরোপীয় কমিশনের নির্দেশনা মেনে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

রাশিয়ার ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞার আওতায় কয়লা,ধাতু, নির্মাণ সামগ্রী এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসহ নানা জিনিস রয়েছে। কিলিনিনগ্রাদের আঞ্চলিক গভর্নর বলেছেন, কিলিনিনগ্রাদ যে সমস্ত জিনিস আমদানি করে তার ৫০ শতাংশই এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় পড়ে।

বিবিসি জানায়, রেল ট্রানজিট অবরোধ নিয়ে লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইইউ বলেছে, দেশটি কেবল রাশিয়ার ওপর ইইউ আরোপিত নিষেধাজ্ঞাই বাস্তবায়ন করছে।

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন রুশ কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার কিলিনিনগ্রাদ সফরে গিয়ে ঊর্ধ্বতন রুশ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেছেন, “লিথুয়ানিয়ার (রেল ট্রানজিট) অবরোধের পদক্ষেপ উস্কে দিয়েছে পশ্চিমারা। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। অদূর ভবিষ্যতে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।”

“এর পরিণতি লিথুয়ানিয়ার জনগণের জন্য মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব বয়ে আনবে।”

এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি।