‘কোভিড শূন্য’ থাকার ৫ দিন পর রোগী পেল সাংহাই

পাঁচদিন ‘কোভিড শূন্য’ থাকার পর কোয়ারেন্টিন অঞ্চলের বাইরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিন রোগীর সন্ধান পেয়েছে চীনের অর্থনৈতিক হাব সাংহাই।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2022, 09:35 AM
Updated : 20 May 2022, 09:35 AM

শুক্রবার নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়ে একটি জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ ও গণপরীক্ষারও ঘোষণা দিয়েছে তারা।

দীর্ঘসময় ধরে লকডাউনে থাকা শহরটি এরপরও পূর্বঘোষিত ১ জুনই বিধিনিষেধ সমাপ্তির পথেই এগুচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

 আড়াই কোটি বাসিন্দার বাণিজ্যিক হাবটি যে নতুন তিন রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে তারা কিংপু জেলার এবং একই পরিবারের সদস্য।

তারা প্রত্যেকেই কোভিড টিকার তিনটি করে ডোজ নিয়েছেন এবং নিয়মিত শনাক্তকরণ পরীক্ষাতেই তাদের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তারা বলেছে, শনাক্তদের কেউই গত ১৪ দিনের মধ্যে নিজেদের জেলা শহরের বাইরে যাননি; কাছাকাছি একটি সুপারমার্কেটসহ অন্তত ৪টি জায়গায় তারা গিয়েছেন বলে জানা গেছে, সেসব জায়গা সিলগালা করে দেওয়ার পাশাপাশি জীবাণুমুক্তকরণে পদক্ষেপও বাস্তবায়িত হয়েছে।

ওই এলাকার ২ লাখেরও বেশি মানুষের দেহে ভাইরাস শনাক্তে পুনঃপরীক্ষা হয়েছে এবং সব ফলই ‘নেগেটিভ’ এসেছে।

“আমাদের জেলা সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুসরণ করবে, মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে যথাযথ কাজ করবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুক্তি অর্জন করবে,” অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন কিংপু জেলার উপপ্রধান ঝ্যাং ইয়ান।

কিংপুতে রোগী মিললেও সাংহাইয়ে বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্য কর্মকর্তারা। শহরতলির পার্কগুলো রোববার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে।

সুনির্দিষ্ট সব শর্ত পূরণ হলে অন্য পার্কগুলোও জুন থেকে খুলে দেওয়া হবে, কিন্তু খেলাধুলার হল, ক্যাফে ও বৈঠক কক্ষের মতো সুবিধাদি বন্ধ থাকবে।

রোববার থেকে ৪টি মেট্রোলাইন খুলে দেওয়ার যে পরিকল্পনা ছিল তাও বহাল থাকছে বলে জানিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ।

সাম্প্রতিক দিনগুলিতে সাংহাই আগের তুলনায় বেশি লোককে ঘর ছেড়ে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে; অনেক আবাসিক কম্পাউন্ড সীমিত সংখ্যক লোককে বাইরে হাঁটতে বা সুপারমার্কেটে যেতে পাস দিচ্ছে। তবে শহরটির বেশিরভাগ লোক এখনও গৃহবন্দি, যাদেরকে সরকারি রেশন ও কেনাকাটার জন্য অ্যাপের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

সাংহাইয়ের এই লকডাউন এবং অন্যান্য শহরে কঠোর বিধিনিষেধের কারণ হচ্ছে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চীনের ‘শূন্য কোভিড’ নীতি। এতে প্রাদুর্ভাব যত দ্রুত সম্ভব নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বৃহস্পতিবারও নতুন ৬২ রোগী শনাক্ত হয়েছে; আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৫৫। 

সোয়া দুই কোটি বাসিন্দার এই শহর এপ্রিলের শেষ থেকেই কোভিডের নতুন প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়ছে; শহরটির অনেক বাসিন্দাই এখন ঘর থেকে অফিসের কাজ করছেন, অনেক দোকান ও ভেন্যু বন্ধ রয়েছে।