ইউক্রেইনের রাজধানীমুখি অভিযান থেকে সরে আসার পর রাশিয়া দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এলাকা নিয়ে গঠিত দনবাসের নতুন নতুন এলাকা দখলের দিকে মনোযোগ দেয়। এ লক্ষ্যে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে তারা। অঞ্চলটি ইউক্রেইনের রুশভাষী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বলে দাবি তাদের।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, “দখলকারীরা আরও চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে। সেখানকার অবস্থা নারকীয় আর এটি কোনো অতিরঞ্জন নয়।
“ওদেসা অঞ্চলে, মধ্য ইউক্রেইনের শহরগুলোতে ধারাবাহিক হামলা চালানো হচ্ছে। দনবাস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।”
মস্কো তাদের আক্রমণকে ইউক্রেইনের ফ্যাসিস্ট ও নব্য-নাৎসিদের দমনে চালানো ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করেছে। আর কিইভ ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো বলছে, বিনাউস্কানিতে যুদ্ধ শুরু করার জন্য রাশিয়া ভিত্তিহীন অজুহাত ব্যবহার করছে।
আক্রমণ যখন প্রায় তিন মাসের কাছাকাছি তখন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট ইউক্রেইনের জন্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তা প্রস্তাব অনুমোদন করেছে; এ পর্যন্ত এটিই যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ত্রাণ সহায়তা বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ধনী দেশগুলোর জি৭ গোষ্ঠীও ইউক্রেইনকে ১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন দিতে সম্মত হয়েছে। ইউক্রেইন বলেছে, এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধে দ্রুত জয় পেতে সাহায্য করবে এবং এগুলো ‘আপনাদের সরবরাহ করা অস্ত্রের মতোই’ গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন অভিযোগ করে বলেছেন, রাশিয়া সরবরাহকে ‘জিম্মি’ করে শুধু ইউক্রেইনীয় না বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের বিরুদ্ধে খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য, রান্নার তেল, জ্বালানি ও সারের দাম বেড়ে গেছে। তবে এর জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে মস্কো।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার রাজনৈতিকভাবে প্রভাশালী ধনীদের জব্দ করা সম্পদ ইউক্রেইনের পুনর্গঠনের কাজে ব্যবহার করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছে। একই সময় রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখা দেশগুলোর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।