সমুদ্রপথে বাণিজ্য বন্ধ, ইউক্রেইনের দৈনিক ক্ষতি ‘১৭ কোটি ডলার’

যুদ্ধের মধ্যে সমুদ্রপথে বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ইউক্রেইনের প্রতিদিন ১৭ কোটি ডলার ক্ষতি হচ্ছে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2022, 07:26 AM
Updated : 10 May 2022, 07:40 AM

সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওদেসায় প্রধানমন্ত্রী দেনিশ শিমাইহাইল বলেন, ইউক্রেইনের জাতীয় রপ্তানি মোট ক্ষমতার অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে।

“এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে নয় কোটি টন কৃষি পণ্য রপ্তানির পরিকল্পনা করেছিল ইউক্রেইন, কিন্তু সেগুলো এখন আটকে আছে,” বলেছেন তিনি।

এ সময় ইউক্রেইন সফররত ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট শার্লে মিশেল তার সঙ্গে ছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

রাশিয়া ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে, পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেইনের সব সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত আছে। এর মধ্যে রাশিয়া কিছু বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ও বাকিগুলো অবরোধ করে রেখেছে। এ পর্যন্ত মারিউপোলসহ রাশিয়া বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে যাওয়া কৃষ্ণ ও আজভ সাগরের চারটি সমুদ্রবন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে ইউক্রেইন।

যুদ্ধে অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি এবং কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো অবরুদ্ধ হয়ে থাকার কারণে খাদ্যশস্যের চালান ইউক্রেইন ছেড়ে যেতে পারছে না বলে গত শুক্রবার জানিয়েছেন জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা –এফএও সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে খাদ্যের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা অপুষ্টি বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করবে।  

ইউক্রেইনের কৃষিমন্ত্রী মাইকোলা সোলস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেইন এবছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ লাখ হেক্টর জমিতে শস্য চাষ করেছে, গতবছরের তুলনায় যা ২৫%-৩০% শতাংশ কম। তবে যুদ্ধের মধ্যেও এপ্রিলে ১০ লাখ ৯০ হাজার টন শস্য রপ্তানি করেছে।

ইউক্রেইনের বন্দরগুলো রুশ সেনাদের ঘেরাওয়ে থাকার মধ্যে রুমানিয়া হয়ে ইউক্রেইনের শস্য রপ্তানি করা হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন তিনি।

একইদিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা এক বছরের জন্য ইউক্রেইনের ইস্পাতের ওপর ধার্য শুল্ক স্থগিত রাখবে। যুদ্ধের কারণে শিল্পটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে তারা।

২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেইনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা ইস্পাতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। মার্চে যুক্তরাজ্যের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের চালানের ওপর ট্রাম্পযুগে আরোপ করা শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে বিতর্কিত ওই শুল্ক নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি করেছে দেশটি।   

আরও পড়ুন: