আত্মসমর্পণ করবে না মারিউপোলের ইস্পাত কারখানার যোদ্ধারা

ইউক্রেইনের অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানার যোদ্ধারা রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ না করার সংকল্প নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2022, 06:18 PM
Updated : 8 May 2022, 06:18 PM

রাশিয়া কয়েকসপ্তাহ ধরে এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং কারখানার ভেতরে থাকা যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে।

মারিউপোলের পূর্ণ দখল করায়ত্ব করার চেষ্টায় নামা মস্কো বাহিনীর সঙ্গে সেখানকার শেষ ঘাঁটি এই আজভস্তাল কারখানা এলাকায় ইউক্রেইনীয় যোদ্ধাদের রক্তাক্ত লড়াই চলছে।

মারিউপোলের ওপর রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পথে বাধা হয়ে আছে এই একটি কারখানায় থাকা মুষ্টিমেয় কিছু ইউক্রেইনীয় যোদ্ধা। তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হলেই রাশিয়া পুরোপুরি মারিউপোল দখলে নেওয়ার দাবি করতে পারবে।

কিন্তু আজভস্তাল কারখানার যোদ্ধারা এখনও নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে না দেওয়ায় অটল রয়েছে। এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেইনের আজভ রেজিমেন্টের উপ-কমান্ডার বলেছেন, “রুশ দখলদ্বারদের হটিয়ে দিতে আমাদের দেহে যতক্ষণ প্রাণ আছে আমরা লড়ে যাব।”

“আমাদের হাতে বেশি সময় নেই। আমরা ঘোর বোমাবর্ষণের মুখে পড়ছি। মারিউপোলের কারখানা থেকে আহত সেনাদের সরিয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছি,” বলেন তিনি।

বিবিসি জানায়, রুশ সেনাদের হামলায় অর্ধেক ক্ষতিগ্রস্ত আজভস্তাল কারখানার বাঙ্কার থেকে অনলাইনে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে সেখানকার আরেক যোদ্ধা সামোইলেঙ্কো বলেন, “কেউই আশা করেনি আমরা এখানে এত দীর্ঘ সময় টিকে থাকব। কিন্তু আমরা এখনও টিকে আছি। এখনও (কারখানা) নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছি।”

সেখানে মোট কত যোদ্ধা আছে সেই হিসাব তিনি দিতে পারেননি। তবে বলেন, শতাধিক যোদ্ধা আহত হয়েছে। কারখানাটি গিরে থাকা রুশ বাহিনী বলছে, তারা সেখান থেকে যোদ্ধাদের সরিয়ে নিতে দেবে যযদি তারা আত্মসমর্পণ করে। তবে এ দাবি মানতে নারাজ সোমাইলেঙ্কো।

তিনি বলেন, “আত্মসমর্পণ করাটা মেনে নেওয়া যায় না। কারণ, আমরা শত্রুপক্ষকে এমন বড় ধরনের একটি উপহার দিতে পারি না। আমরা মূলত মৃত মানুষ। আমাদের বেশিরভাগই এটা জানে। সেকারণেই আমরা এতটা নির্ভয়ে লড়ি।”

মারিউপোল দখল করাটা রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবার এই নগরীর পতন হতে না দেওয়াটাও ইউক্রেইনের প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্র্ণ। একারণে আজভস্তাল কারখানাটি দুই পক্ষের ভাবমূর্তির জন্যই একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে।