গত সেপ্টেম্বরে গঠিত সামরিক জোট এইউকেইউএস নেতা ব্রিটেনের বরিস জনসন, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন ও অস্ট্রেলিয়ার স্কট মরিসনের মধ্যে মঙ্গলবারের এক অনলাইন বৈঠকে এ সমঝোতা হয় বলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসনের দপ্তর জানিয়েছে।
নবগঠিত এই সামরিক জোট অস্ট্রেলিয়াকে ফ্রান্স থেকে প্রচলিত সাবমেরিন কেনার বদলে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সমর্থিত পারমাণবিক সাবমেরিন কর্মসূচীতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করে। সাবমেরিন চুক্তি বাতিল করায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থে দেশটির একটি প্রচলিত সাবমেরিনের পাশে ব্রিটেনের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন। ফাইল ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
“আমরা আজ হাইপারসনিক্স ও হাইপারসনিক্স প্রতিরোধী এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সক্ষমতা নিয়ে নতুন ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা আরম্ভ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি,” বিবৃতিতে তারা এমনটি বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ‘সাইফায়ার’ নামের একটি হাইপারসনিক অস্ত্র কর্মসূচী আছে।
একজন ব্রিটিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদিও এই মুহূর্তে ব্রিটেন এ কর্মসূচীতে যোগ দেবে না, কিন্তু দেশ তিনটি এই ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে গবেষণা ও উন্নয়নে একত্রে কাজ করবে।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আক্রমণের পর ইউরোপের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ায় বাইডেন প্রশাসন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শব্দের পাঁচগুণ গতিতে ছুটতে পারে।
একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ফাইল ছবি: রয়টার্স
তারা একটি ‘মুক্ত ও অবাধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের’ প্রতিও তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করেন।
রাশিয়া বলেছে, তারা ইউক্রেইনকে নিরস্ত্রীকরণ ও ‘নব্য নাৎসীমুক্ত করতে’ প্রতিবেশী দেশটিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ পরিচালনা করছে। কিন্তু ক্রেমলিনের এই অবস্থানকে বিনাউস্কানিতে হামলা চালানোর অজুহাত বলে অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেইন ও পশ্চিমা দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার এই হাইপারসনিক অস্ত্র সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে করা প্রশ্নে জাতিসংঘে নিয়োজিত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জান মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেছেন, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না যা বিশ্বের অন্যান্য অংশে ইউক্রেইন যুদ্ধের মতো একটি সংকটে ইন্ধন যোগায়।
“ইউক্রেইনের সংকট দেখতে চায় না এমন যে কারও এ ধরনের কিছু করা থেকে বিরত থাকা উচিত যা বিশ্বের অন্যান্য অংশকে একই ধরনের সংকটের দিকে নিয়ে যেতে পারে। চীনা প্রবাদ অনুযায়ী বলা যায়: তুমি যদি এটা পছন্দ না কর তাহলে অন্যের ওপর এটি চাপিয়ে দিও না,” বলেছেন ঝাং।