মঙ্গলবার পোল্যান্ড বলেছিল, আগ্রাসী রাশিয়ার বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ইউক্রেইনের বিমান বাহিনীকে ফের সজ্জিত করতে তাদের কাছে থাকা সবগুলো মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান জার্মানিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘাঁটির মাধ্যমে কিইভকে দিতে চায় তারা।
এর জন্য ওই যুদ্ধবিমানগুলো জার্মানিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান ঘাঁটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল পোল্যান্ড।
ইউক্রেইনের বিমানচালকরা এসব যুদ্ধবিমান ওড়াতে পারদর্শী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এসব বিমান চেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনে অস্ত্র সরবরাহের গতি বাড়ানোর তাগাদা দিলেও নেটো নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে যুদ্ধকবলিত এলাকায় যুদ্ধবিমান পাঠানো ‘পুরো নেটো জোটের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে’ বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন) ।
নেটো জানিয়েছে, তারা পারমাণবিক শক্তিধর রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়াতে চায় না। ইউক্রেইনে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে মার্কিন সেনা পাঠানোর ধারণাও বাতিল করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পোল্যান্ডের প্রস্তাবের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, “এর পক্ষে সারগর্ভ কোনো যুক্তি আছে কি না, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। এই ইস্যু নিয়ে ও এটি যে কঠিন বাস্তবায়নগত চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে তা নিয়ে পোল্যান্ড ও অন্যান্য নেটো মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ চালিয়ে যাব, কিন্তু পোল্যান্ডের প্রস্তাবকে কার্যকর কিছু মনে করি না আমরা।”
মঙ্গলবার পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে, তারা তাদের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানগুলো জার্মানির রামস্টাইন বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করতে এবং সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। তারা নেটোর অন্যান্য যে সদস্য দেশগুলোর কাছে এসব বিমান আছে, তাদেরও একই কাজ করার আহ্বান জানায়।
পোল্যান্ডের এই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ‘আশ্চর্য হয়ে যায়’ বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক অন্ডারসেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড জানিয়েছেন।
ইউক্রেইনকে আত্মরক্ষামূলক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে প্রতিবেশী পোল্যান্ড। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেইনের যুদ্ধে তারা সরাসরি কোনো পক্ষ না হওয়ায় যুদ্ধকবলিত প্রতিবেশী দেশটিতে কোনো যুদ্ধবিমান পাঠাবে না বলে জানিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, রাশিয়ায় হামলা চালানোর জন্য দেশগুলোর ইউক্রেইনকে বিমান ঘাঁটি ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়াকে তারা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া বলে বিবেচনা করতে পারে।