বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী একযোগে হামলা শুরু করে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেইনে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো দেশে অন্য কোনো রাষ্ট্রের চালানো এটাই সবচেয়ে বড় হামলা।
‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে এই অভিযান বলে পুতিন দাবি করলেও ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলছেন, পুরো ‘ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ শুরু করল রাশিয়া।
রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে দেশকে রক্ষায় ইউক্রেইনের সব নাগরকিকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলোতে পুতিনের বিরুদ্ধের নিন্দার ঝড় বইছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে।
রাশিয়াকে বেষ্টন করে থাকা দেশগুলোতে ন্যাটো সৈন্যদের সতর্ক রাখা হলেও তারা এই যুদ্ধে এখনও জড়ায়নি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটটির মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ।
ইউক্রেইনের নেটো জোটে যাওয়ার আগ্রহই এই যুদ্ধের পটভূমি তৈরি করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন যুগের ওয়ারশ জোটের অনেক দেশ এখন নেটোতে ঢুকে পড়লেও রুশ সীমান্তঘেঁষা ইউক্রেইনকে সেদিকে যেতে দেওয়ার ঘোর বিরোধী পুতিন।
তবে বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই ইউক্রেইনে ‘বিশেষ সেনা অভিযান’ শুরুর ঘোষণা দিতে টেলিভিশনে লাইভ সম্প্রচারে আসেন পুতিন।
তার ঘোষণার পরপরই রাতের আঁধারে ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভসহ অন্যান্য অঞ্চলে সেনা, নৌ এবং বিমান হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।
বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার মুহুর্মুহু গোলা বর্ষণের মধ্যে ইউক্রেইন জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় চেরনিহিভ, খারকিভ ও লুহানস্ক সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করে বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সাগরপথে দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডেসা এবং মারিওপোল বন্দর নগরীতে ইতোমধ্যে রাশিয়ার সেনারা ভিড়েছে।
বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের আগে ৩০ লাখ মানুষের নগরী রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। গোলাগুলি আর সাইরেনের মধ্যে সেখানকার বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে থাকেন।
বিবিসি জানায়, দেশটিতে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় লোকজন রেলস্টেশনে ভিড় করছে। বাসের জন্য মানুষের দীর্ঘ লাইনের পাশাপাশি জ্বালানি তেলের জন্য ভিড় দেখা গেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেইনের পূর্বদিকের পোল্যান্ড সীমান্তে একটি ক্রসিংয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মানুষ সন্তান-সন্ততি, তলপি-তল্পা নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেছে।
পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরিসহ ইউক্রেইনের সীমান্ত ঘেঁষা ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ জানিয়েছে, সেখান থেকে পালিয়ে আসা মানুষকে তারা আশ্রয় দেবে।
দিনের মাঝামাঝি সময়ে একটি বিস্ফোরণের পর ইউক্রেইনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের সদর দপ্তরের উপর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠতে দেখা যায় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার ৫০ সেনাকে হত্যা এবং দেশটির কমপক্ষে ছয়টি উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার দাবি করলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, এই অভিযানে তারা খুব সামান্যই বাধা পেয়েছে এবং ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র ফেলে নিজেদের দখল ছেড়ে দলে দলে পালিয়ে যাচ্ছে।
কিয়েভের কাছে হোস্টোমেল বিমানবন্দরে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একটি রুশ হেলিক্প্টার ভূপাতিত হওয়ার একটি ভিডিওর কথা নিশ্চিত করেছে বিবিসি।
ইউক্রেইনের মূল সামরিক বিমান ঘাঁটি এবং মালামাল পরিবহনে ব্যবহার করা ইউক্রেইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এটি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্গো প্লেন ‘ম্রিয়া’ এই বিমানবন্দরে রাখা হয়।
ইউক্রেইনের কমান্ডার ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভালেরি জালুঝনি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে রুশ বাহিনীর সঙ্গে কিয়েভে লড়াই চলছে।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টার বরাতে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, চেরনোবিল পরমাণু শক্তি কেন্দ্র রুশ বাহিনী দখল করে নিয়েছে।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দখল রাখতে ইউক্রেইনের বাহিনী চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে।
১৯৮৬ সালে চেরনোবিলে দুর্ঘটনা বিশ্বের ভয়াবহতম পরমাণু বিপর্যয় হিসেবে দেখা হয়।
“যদি রাশিয়া যুদ্ধ অব্যাহত রাখে, তবে ২০২২ সালে আবারও চেরনোবিলের মত বিপর্যয় ঘটবে,” বলেছে ইউক্রেইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই যুদ্ধের কারণে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজগুলো ইউক্রেইন এড়িয়ে চলায় দেশটির আকাশ এখন ফাঁকা হয়ে উঠেছে।
দিনভর হামলায় ইউক্রেইনের ৭৪টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করার দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাসেনকভ।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাস লিখেছে, ১১টি বিমানঘাঁটি, তিনটি কমান্ড পোস্ট, একটি নৌঘাঁটি, এস-৩০০ ও বিইউকে-এমওয়ান মিসাইল সিস্টেমের ১৮ রেডার স্টেশন রয়েছে এসব স্থাপনার মধ্যে।
ইউক্রেইনের পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনের শুরু থেকে রাশিয়া ২০৩টি হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেইনের ভূখণ্ডের প্রায় সবখানেই লড়াই চলছে।
দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় সামি শহরে রাশিয়ার বাহিনীর সঙ্গে লড়ছে।
তুমুল লড়াইয়ে রুশ বাহিনীর কিছু সদস্যকে বন্দি করা হয়েছে বলেও ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক উপদেষ্টা বলেছেন, তাদের আশঙ্কা, রাশিয়ান বাহিনীকে বিমানে করে ইউক্রেইনে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে এবং এরপর রুশ বাহিনী রাজধানী কিয়েভের সরকারি এলাকায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করতে পারে।
ইউক্রেইন বলেছে, বৃহস্পতিবারের লড়াইয়ে তাদের ৪০ জনের বেশি সেনা মারা গেছে এবং আরও বেশকিছু মানুষ আহত হয়েছে।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেইনের সীমান্ত এলাকাগুলোতে গত কয়েক মাসে কমপক্ষে দুই লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
কয়েক দিন আগেই ‘শান্তি রক্ষার’ কথা বলে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি এলাকায় সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে শান্তি চুক্তি লঙ্ঘন করেন রাশিয়ার প্রসিডেন্ট।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি টুইটারে লিখেছেন, “রাশিয়া বিশ্বাসঘাতকের মতো ভোরে আমাদের দেশে আক্রমণ করেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বছরগুলোতে নাজি জার্মানি যেমনটা করেছিল।”
“আজ পর্যন্ত আমাদের দেশগুলো বিশ্ব ইতিহাসের ভিন্ন পাশে রয়েছে। রাশিয়া একটি অশুভ অধ্যায়ের সূচনা করেছে কিন্তু ইউক্রেইন নিজেকে রক্ষা করছে এবং মস্কো যাই ভাবুক কোনোভাবেই স্বাধীনতা ছাড়বে না।”
দেশ রক্ষায় ইউক্রেইনের জনগণকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, যে লড়াই করতে চায় তাকেই অস্ত্র দেওয়া হবে।
অন্যদিকে হামলা শুরুর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টিভি ঘোষণায় জানান, রাশিয়াসহ ইউক্রেইনের জনগণকে ‘গণহত্যা’ থেকে রক্ষায় তিনি বিশেষ সেনা অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এজন্য আমরা ইউক্রেইনে বেসামরিকীকরণ এবং নাজি মতাদর্শ মূলোৎপাটনের চেষ্টা করব।”
পুতিন বলেন, “আধুনিক ইউক্রেইনের ধারাবাহিক হুমকির মধ্যে রাশিয়া নিজেকে উন্নত ও নিরাপদ ভাবতে পারে না এবং এই অবস্থার মধ্যে থাকতে পারে না… রক্তপাতের জন্য ইউক্রেইনের ক্ষমতাসীনদের ওপরই সব দায় বর্তাবে।”
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেইনে উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণ দিক থেকে অভিযান চালিয়ে দেশটির গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা চালাতে পারে।
এ লক্ষ্যে রাশিয়া তার সেনাদের ক্রিমিয়া, বেলারুশ এবং ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে পাঠাতে পারে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেইন তার সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে দেশটির রিজার্ভ ফোর্সের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী সব সদস্যকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্বের ১৭১টি দেশের বার্ষিক সামরিক সক্ষমতা নিরূপণ করা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার, আইএসএস মিলিটারি ব্যালেন্সের তথ্য অনুযায়ী রাশিয়ার ২৯ লাখ পদাতিক সেনার বিপরীতে ইউক্রেনের রয়েছে ১১ লাখ সেনা।
রাশিয়ার যুদ্ধবিমান রয়েছে ১,৫১১টি। এর বিপরীতে ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান ৯৮টি। রাশিয়ার সামরিক হেলিকপ্টার রয়েছে ৫৪৪টি এবং ইউক্রেইনের এ সংখ্যা ৩৪টি।
১২ হাজার ২৪০টি রুশ ট্যাংকের বিপরীতে ইউক্রেইনের রয়েছে ২,৫৯৬টি ট্যাংক। রাশিয়ার ৩০ হাজার ১২২টি সাঁজোয়া যানের বিপরীতে ইউক্রেইনের রয়েছে ১২ হাজার ৩০৩টি।
রাশিয়ার ৭,৫৭১টি বহনযোগ্য কামানের বিপরীতে ইউক্রেইনের হাতে আছে ২,০৪০টি কামান।
বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পথ এড়াতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিরস্ত করার জন্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পশ্চিমা নেতাদের ‘নিষ্ফলা’ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে এই হামলা শুরু হয়।
শেষ মুহূর্তের চেষ্টা হিসেবে পুতিনকে ‘মানবতার’ দোহাই দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
ইউক্রেইন নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি এক বৈঠকের পর তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন, মানবতার দোহাই, আপনার সেনাদের রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিন।”
যুদ্ধ ইউক্রেইনের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি নিয়ে আসবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর পরিণতি সুদূরপ্রসারী হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের জন্য এটা সবচেয়ে ঘোরতর অন্ধকার একটি সময়।”
সামরিক জোট নেটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ রাশিয়ার এই হামলাকে দীর্ঘ পরিকল্পিত এবং ‘ঠাণ্ডা মাথার’ আগ্রাসন হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ বিষয়ে শুক্রবার জরুরি বৈঠক ডেকেছে নেটো।
তিনি জানান, একশরও বেশি যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং পূর্বাঞ্চলে সেনাসংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে ইউক্রেইনে সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক টিভি ভাষণে বলেন, “আড়াল থেকে ভ্লাদিমির পুতিনের এমন বর্বরের মতো ঝাঁপিয়ে পড়া ব্যর্থতায় নিঃশেষ হবে।”
ইউক্রেইনে হামলার জবাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন তিনি। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রাশিয়ার বড় বড় ব্যাংকগুলো, যেসব যুক্তরাজ্যে কার্যক্রম চালায়। তাদের সম্পদ অবরুদ্ধ করে ব্রিটিশ আর্থিক ব্যবস্থা থেকে তাদের বাদ দেওয়া হবে। তার মানে, এসব ব্যাংক আর ব্রিটিশ স্টারলিংয়ে লেনদেন করতে পারবে না এবং তাদের কোনো লেনদেন ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাবে না।
আরও একশ রুশ নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এনে যুক্তরাজ্যে তাদের সম্পদ অবরুদ্ধ করার ঘোষণাও দিয়েছে।
রাশিয়ার অ্যারোফ্লোট এয়ারলাইন্স যুক্তরাজ্যে নামতে পারবে না, এমন নিষেধাজ্ঞাও এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন পূর্বপরিকল্পিত যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছেন।”
রাশিয়ার ডলারে লেনদেন সীমিত করে আনার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। নিষেধাজ্ঞার আওতা আরও বাড়িয়েছেন তিনি।
বাইডেন এটাও বলেছেন, খোদ রুশ প্রেসিডেন্টের পুতিনের উপর নিষেধাজ্ঞাও এখন তাদের ভাবনায় রয়েছে।
তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা এই যুদ্ধে লড়ছে না, লড়বেও না।
আরও পড়ুন: