রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালালে ফলাফল ‘ভয়াবহ হবে’

ইউক্রেইনের সীমান্তের কাছে রাশিয়া যে বাহিনীগুলো জড়ো করেছে, প্রতিবেশী দেশটিতে আগ্রাসন চালাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলে ফলাফল ‘ভয়াবহ’ ও হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2022, 11:29 AM
Updated : 29 Jan 2022, 11:29 AM

শুক্রবার পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে চলমান মুহূর্তগুলোকে স্নায়ুযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছে দেশটির সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ সেনাবাহিনীর জেনারেল মার্ক মিলি। 

ইউক্রেইন নিয়ে রাশিয়া ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা চলছে। পূর্ব ইউরোপ থেকে তাদের সেনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নেটোর প্রতি দাবি জানিয়েছে মস্কো আর এই সামরিক জোটে ইউক্রেইন যেন কখনো যোগ দিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বলেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও এর নেটো মিত্ররা রাশিয়ার এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করলেও বলেছে, বিশ্বাস তৈরি করার মতো পদক্ষেপ ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে তারা।

ইউক্রেইন সীমান্তে রাশিয়া যে বাহিনীগুলো মোতায়েন করেছে সেগুলোর ধরনের দিকে ইঙ্গিত করে মিলি বলেন, “তাদের সব ধরনের প্যাকেজ একত্র করা হয়েছে, এদের যদি ইউক্রেইনের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে তা উল্লেখযোগ্য, খুবই উল্লেখযোগ্য হবে এবং এর ফলাফলে হতাহতের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হবে।”

তিনি যোগ করেন, “রাস্তা বরাবর ঘনবসতিপূর্ণ নগর এলাকাগুলোর পরিস্থিতি কী দাঁড়াতে পারে আপনারা তা অনুমান করতে পারেন। এটি ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ হবে।”

মিলির পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিশ্বাস করে না যুক্তরাষ্ট্র, তবে এটি করার মতো সামরিক সক্ষমতা এখন তার আছে। শহর ও উল্লেখযোগ্য অঞ্চল দখল করা ছাড়াও বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া মতো জবরদস্তিমূলক ও উস্কানিমূলক রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার মতো অনেক বিকল্পই তার হাতে আছে।” 

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ছড়ানো গুজব মোকাবেলায় মনোনিবেশ করেছে বলে জানান তিনি। এসব গুজবের যে কোনোটিকে ইউক্রেইনে আক্রমণ চালানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অস্টিন। ইউক্রেইনের আত্মরক্ষায় সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।