একটি পাহাড়ি খাদের ওপর থাকা সেতুটি ধসে পড়ার সময় সেখানে একটি বাসসহ ছয়টি গাড়ি ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আহতদের আঘাত গুরুতর নয় এবং তাদের মধ্যে মাত্র তিন জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টার পর কোনো এক সময় ফোর্বস অ্যাভিনিউয়ের অর্ধ শতাব্দী পুরানো তুষার আচ্ছাদিত ফার্ন হোলো সেতুটি ধসে পড়ে।
এর কয়েক ঘণ্টা পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন পিটসবার্গ শহর পরিদর্শনে যাওয়ার সময় সেখানে থেমে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পিটসবার্গের দমকল বাহিনীর প্রধান ড্যারেল জোন্স জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা দুর্ঘটনায় পড়া লোকজনকে উদ্ধারে মানবশিকল ও ১০০ ফুটেরও বেশি লম্বা দড়ি ব্যবহার করেছে।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী কুকুর ও ড্রোনও দেখা গেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
খাদ থেকে উদ্ধারের পর বাস চালক ড্যারিল লুসিয়ানি বলেন, “মনে হচ্ছিল বাসটি অনেকক্ষণ ধরে কাঁপছে ও লাফাচ্ছে, কিন্তু সম্ভবত এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বাসটি থেমে যায়। বাসের কেউ আঘাত পায়নি বলে আশ্বস্তবোধ করছি।”
কী কারণে সেতুটি ধসে পড়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি। পিটসবার্গের মেয়র এড গেইনি জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরেও সেতুটি পরিদর্শন করা হয়েছিল, কিন্তু ২০১৯ সালের মূল্যায়নে কাঠামোটি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এমন আভাস পাওয়া গিয়েছিল।
ইস্পাতের স্প্যানের এই সেতুটি ১৯৭০ সালে তৈরি করা হয়েছিল। গাড়ি নিয়ে পিটসবার্গের কেন্দ্রস্থলে যেতে এটি বহুল ব্যবহৃত একটি পথ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারা দেশে প্রায় ৪৫ হাজার সেতুর কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে, এর মধ্যে ৩ হাজারেরও বেশি সেতু আছে পেনসিলভেইনিয়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জীর্ণ হয়ে পড়া রাস্তা ও সেতু মেরামতে নভেম্বরে ১১০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাবে স্বাক্ষর করে সেটিকে আইনে পরিণত করেছেন বাইডেন। যাকে তার মেয়াদের প্রথম বছরের বড় একটি অর্জন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ধসে পড়া সেতু পরিদর্শনের পর পিটসবার্গ থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে মিফলিনে দেওয়া এক ভাষণে বাইডেন বলেন, “আমি জানতাম না, পেনসিলভাইনিয়ার পিটসবার্গে যত সেতু আছে বিশ্বের আর কোনো শহরে এত সেতু নেই। আমরা সারাদেশের দুর্বল হয়ে পড়া সব সেতু মেরামত করতে যাচ্ছি। এটি কোনো রসিকতা নয়।”